জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে ‘খোলা মনে’ বৈঠক করার আবেদন রেখেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্ন যে কোনও জায়গায় বৈঠক করতে রাজি তাঁরা। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অভিভাবক’ হয়ে উপস্থিত থাকুন, সেটাই চাইছেন তাঁরা।জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘আমরা চাই, সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে যেতে। আলোচনা সদর্থক করতে অভিভাবক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্ন যে কোনও জায়গায় হোক বৈঠক।’ তবে পুরো বৈঠক মিডিয়ার সামনে হতে হবে বলে দাবি করেছেন ডাক্তাররা।
এদিন সন্ধ্যা ছটায় বৈঠকের জন্য আহ্বান করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে, সেই বৈঠকে উপস্থিত হননি ডাক্তাররা। তাঁদের তরফে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল বৈঠক নিয়ে। এরপর রাজ্যের মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘কোনও শর্ত রেখে আলোচনা করা যায় না। আমরা চাই খোলা মনে বৈঠক হোক, তাঁদের উদ্বেগের বিষয়গুলি যাতে শুনতে পারি।’ তবে, ডাক্তারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘আমাদের তরফে ইমেল পাঠানো হচ্ছে, তার জবাবের অপেক্ষা করছি। আমারও চেয়েছি খোলা মনে সবার সামনে আলোচনা হোক। মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবক, সেক্ষেত্রে উনি থাকবেন কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। এটা কোনও জেদ নয়, এটা অধিকার।’
ভোর চারটেয় কেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে মেল করা হলো? সেই নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর উত্তরে ডাক্তাররা বলেন, ‘ভোর বেলা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ই-মেল করায় কোনও রাজনীতি ছিল না। যে ভাবে রোগীদের জন্য আমরা ভোর চারটেয় ছুটে যাই, সে ভাবেই ই-মেলটি করা হয়েছে। যাঁরা রাজনীতি করার অভিযোগ তুলছেন, তাঁরাই রাজনীতি করছেন।’
রাজ্যের হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালেগুলিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করার ব্যাপারে এদিন আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। রাজীব বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তার ভাইবোনদের বলছি, আপনাদের কাজের জায়গা নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। খুব দ্রুত একটা বদল দেখতে পাবেন। আপনারা যখন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি চাইছেন, তাহলে খোলা মন নিয়ে আলোচনায় আসুন। ভুল পথে যাবেন না।’