• মর্গের শবের সঙ্গে ‘ফূর্তি’ করত সঞ্জয়, মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম? আরজি করে নয়া মোড়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি করের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন মহলকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায়। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। এবার সিবিআইয়ের নজরে আরজি করের মর্গ। আর সেই মর্গকে ঘিরে সন্দেহ বেড়ে গিয়েছে সঞ্জয়ের মোবাইলে থাকা একাধিক ভিডিয়ো দেখে। সূত্রের খবর, সেই ভিডিয়োতে নাকি দেখা গিয়েছে শবের সঙ্গে সঙ্গম করছে সঞ্জয়। 

    এরপরই চমকে ওঠেন তদন্তকারীরা। এরপরই খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অনেক রাত পর্যন্ত আলো জ্বলত মর্গে। কী কাজ হত অত রাতে? প্রশ্নের উত্তর নেই। 

    সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে সঞ্জয়ের কি মানসিক বিকৃতি ছিল? নাকি এর পেছনে ছিল পর্ন ব্যবসা ? 

    খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তবে সঞ্জয়ের ফোন ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন বহুক্ষণ ধরে পর্ন দেখত সঞ্জয়। কার্যত ডুবে থাকত পর্নে। এবার প্রশ্ন উঠছে সঞ্জয়ের এই কাজে আর কারা যুক্ত ছিল? তার পক্ষে তো একলা ভিডিয়ো করা সম্ভব নয়। তাহলে আর কারা যুক্ত ছিল? 

    তবে এই ঘটনা যদি বাস্তবে সত্য হয় তবে আর জি করের ঘটনার মোড় ঘুরে যেতে পারে। সূত্রের খবর প্রাথমিকভাবে ঘটনার পরে একটা সন্দেহ করা হচ্ছিল যে প্রথমে ওই চিকিৎসককে খুন করা হয়েছিল। তারপর ধর্ষণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তেমনটাই জানা গিয়েছিল। তবে কি তার পেছনেও ছিল সেই ভয়াবহ নেশা? 

    সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করছে সিবিআই। এদিক এর আগেই অভিযোগ উঠছে আরজি করের মর্গে বেওয়ারিশ দেহ বিক্রি করা হত অবৈধভাবে। আর তার পেছনে সন্দীপ ঘোষের নামও জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। 

    পুলিশ আগেই দাবি করেছিল, মৃত চিকিৎসকের শরীরের কোনও হাড় ভাঙা ছিল না। অর্থাৎ বার বারই দাবি করা হচ্ছিল যে তাঁর কলার বোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার পুলিশের একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে ওই মহিলা চিকিৎসকের কলার বোন বা পেলভিক বোন ভাঙার কোনও বিষয় পাওয়া যায়নি।

    এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে অপর একটি বিষয় দাবি করা হচ্ছে যে একলা সঞ্জয় রায়ের পক্ষে এই ঘটনা করা সম্ভব নয়। এবার প্রশ্ন সেই সঞ্জয়ের সঙ্গে তবে কে ছিল?

    সঞ্জয় রায়কে সেদিনের ফুটেজ দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই দেখা হচ্ছে সেদিন সেমিনার হলের ভেতরে কি কেউ ছিলেন? একাধিক অডিও ক্লিপকে ঘিরেও নানা ধরনের চর্চা শুরু হয়েছে। তবে সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)