• হুগলির একাধিক ব্লকে হবে ‘বীজ গ্রাম’
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: বীজের চাহিদা মেটাতে স্বনির্ভর হবে চাষিরা। আর বাইরে থেকে কিনতে হবে না। হুগলির ব্লকে ব্লকে গড়া হচ্ছে বীজ গ্রাম। আরামবাগ মহকুমার ছ’টি ব্লকেই এরকমই একটি করে গ্রামকে চিহ্নিত করেছে কৃষিদপ্তর। চলতি বছর থেকেই সেখানে বীজ গ্রাম গড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

    কৃষিদপ্তরের হুগলির ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রশাসন) মৃত্যুঞ্জয় মর্দনা বলেন, চাষিদের যাতে বাইরে থেকে ধানের বীজ কিনতে না হয় সেই লক্ষ্যেই এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে তাই জোর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে চাষিদের সব রকম সাহায্য করছে কৃষিদপ্তর।

    হুগলির সহ কৃষি অধিকর্তা নবারুণ চক্রবর্তী বলেন, হুগলির ১৬টি ব্লকে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই তা শুরু করা হচ্ছে। এরপর সর্ষে, বাদাম চাষেও চাষিদের স্বনির্ভর করা হবে। যেসব এলাকায় প্রচলিত ধানের চাষ হয়ে থাকে তারমধ্যে উচ্চ ফলনশীল বীজকেই এই প্রকল্পে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এরজন্য কোথাও বিধান সুরুচি আবার কোথাও স্বর্ণ মাসুরি বীজকে কেন্দ্র করে প্রকল্প করা হচ্ছে। চলতি বর্ষার মরশুমে আরামবাগ মহকুমার ছ’টি ব্লকেই একটি করে গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে স্বর্ণ মাসুরি ধানের বীজ দিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রামকে বীজ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কৃষিদপ্তর। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, অন্তত ২০ হেক্টর জমির উপর বীজ গ্রাম গড়ে তোলা হচ্ছে। এরজন্য কমপক্ষে ৫০ জন চাষিকে প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। তারা নিজেদের জমিতে এই বীজ বপন করেছে। সেই ধানের ফলনের উপর নজরদারি করছে কৃষি দপ্তর। কৃষিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুরশুড়ার কেলেপাড়া পঞ্চায়েতের রণবাগপুর এলাকাকে বীজ গ্রাম করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর খরিফের মরশুমে যাতে চাষিদের বীজ কিনতে দোকানে যেতে না হয় সেইজন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে তা তৈরিতে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন  ব্লকে চাষিরা ধানের অন্যান্য বীজ ব্যবহার করেন। তবু কৃষি দপ্তর সংশ্লিষ্ট দু’টি বীজের ব্যবহার বাড়াতে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরে ধানের পাশাপাশি সর্ষে চাষেও চারটি জায়গায় বীজ গ্রাম গড়তে রাজ্য টার্গেট দিয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)