• এখনও চা বাগানের বোনাস নিষ্পত্তি হয়নি, চিন্তায় ডুয়ার্সের হাট ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: ডুয়ার্সের চা বাগানের হাটগুলির ব্যবসায়ীরা অধীর আগ্রহে চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাসের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কারণ বোনাসের টাকা হাতে এলেই চা বলয়ের হাটগুলিতে শ্রমিকদের পুজোর কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। হাসি ফোটে বাগানের হাটগুলির ব্যবসায়ীদের মুখে। কিন্তু ৫, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর তিনদিনে তিনটি বৈঠকেও চা শ্রমিকদের পুজো বোনাসের নিষ্পত্তি না হওয়ায় মনমরা বাগানের হাটগুলির ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের সবার প্রশ্ন, পুজো দোড়গড়ায়। আর কবে শ্রমিকরা বোনাসের টাকা হাতে পাবেন। আগামী ২০ বা ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফের চা বাগানের বোনাস বৈঠক হবে। কিন্তু, ওই বৈঠকেও বোনাসের নিষ্পত্তি না হলে অর্থনৈতিকভাবে নিশ্চিতভাবেই তার প্রভাব পড়বে বাগানের হাটগুলিতে। মার খাবে বাগানের হাটগুলির পুজোর বাজার। ডুয়ার্সে চা বাগানের অন্যতম বড় হাট হ্যামিল্টগঞ্জ। হ্যামিল্টনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ বলেন, এমনিতেই হাটে বেচাকেনার অবস্থা খারাপ। তার উপর সময়ে শ্রমিকদের বোনাস নিষ্পত্তি না হলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে হাটগুলিতে। আমরা চাই, দ্রুত শ্রমিকদের বোনাস নিষ্পত্তি হোক। 

    আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, আজ হোক কাল হোক মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বোনাস দিতেই হবে। বোনাস যদি সময়ে না হয় তাহলে তাঁরা আর কবে পুজোর কেনাকাটা করবেন। দেরিতে বোনাস হলে শ্রমিকদের সঙ্গে বাগানের হাটগুলির ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। 

    বোনাসের ফয়সালা হলেও সমস্ত বাগানের শ্রমিকদের বোনাসের টাকা হাতে পেতে পেতে আরও ১০-১২ দিন সময় লেগে যায়। কিন্তু ২০ বা ২১ তারিখ যদি বোনাস চুক্তির ফয়সালা না হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই এবার বাগানের হাটগুলির পুজোর কেনাকাটা মার খাবে। তাতে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন হাট ব্যবসায়ীরাই। এমনই আশঙ্কা প্রবলভাবে তাড়া করছে। 

    তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, এই আশঙ্কা আমাদেরও রয়েছে। আমরা ২০ বা ২১ তারিখের বৈঠকেই বোনাস নিষ্পত্তির উপর জোর দেব। যাতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকরা বোনাসের টাকা হাতে পেয়ে যান। বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউয়ের চেয়ারম্যান আলিপুরদুয়ারের এমপি মনোজ টিগ্গা বলেন, শ্রমিকদের পুজোর কেনাকাটার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও দিতে হবে। তাই আগামী বৈঠকে আমরাও দাবি জানাব বোনাস নিষ্পত্তি করে ৩০ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বোনাসের টাকা দিতে হবে। যাতে বাগানের শ্রমিকরা পুজোর কেনাকাটার জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময় পান। 

    যদিও চা মালিকদের সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টাই) উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর বলেন, এই আশঙ্কা অমূলক। শ্রমিকরা যাতে পুজোর কেনাকাটায় পর্যাপ্ত সময় পান তারজন্য ২০ বা ২১ তারিখেই বোনাসের  ফয়সালা হয়ে যাবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)