• চাঁচলে অজানা রোগে শুকিয়ে যাচ্ছে বেগুন গাছ, ক্ষতির মুখে কৃষকরা
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: অজানা রোগে শুকিয়ে যাচ্ছে বেগুন গাছ। রোগ নির্ণয় করতে পারেনি উদ্যানপালন দপ্তর। যার জেরে হতাশা তৈরি হয়েছে চাষিদের মধ্যে। অনেকে জমি থেকে বেগুন গাছ উপড়ে ফেলেছেন। ক্ষতির মুখে পড়ে এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন চাষিরা। দিঘাবসতপুরের চাষি জাহাঙ্গীর আলমের কথায়, এলাকার অনেক জমিতে অজানা রোগের আক্রমণ দেখা গিয়েছে। বেগুন গাছে কী রোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরও বলতে পারছে না। আমার ১০ কাঠা জমির ফসল সব শেষ।

    মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের খরবা ও মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশো বিঘা জমিতে বেগুন গাছ শুকিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন চাষিরা। রোগ নির্ণয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, চাঁচল ১ ব্লক এলাকায় প্রায় আটশো হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়। তারমধ্যে প্রায় দেড়শো হেক্টর জমিতে বেগুন লাগানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেগুন চাষ হয় খরবা ও মতিহারপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানকার বেগুন শিলিগুড়ি ও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে। ফলে বেগুন চাষ করে প্রতিবছর লাভবান হন এলাকার চাষিরা। কিন্তু এবছর অজানা রোগে কার্যত বিপর্যস্ত তাঁরা।

    চাষিদের কথায়, বেগুন চারা রোপণ করার মাসখানেক পর ফল আসার আগেই পাতা হলদে হয়ে যাচ্ছে। জমিতে থাকা একের পর গাছ শুকিয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। সন্তোষপুরের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমিতে বেগুন লাগিয়েছিলাম। সব গাছ হলদে হয়ে শুকিয়ে যাওয়ায় উপড়ে ফেলেছি। প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে এবার।

    চাঁচল মহকুমা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক অরিন্দম ভুঁইয়া বলেন, সাধারণত চারাগাছ রোপণের ১৪ দিনের মধ্যে এমন ভাইরাস আক্রমণ করলে ওষুধ স্প্রে করতে হয়। বড় গাছে ভাইরাসের হামলা হলে কোন ওষুধ স্প্রে করা যায়, সেটা নির্ণয়ের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)