• বরাদ্দ হলেও রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি, ক্ষোভ জমছে পুরবাসীর
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: পুরসভার দাবি, ভাঙা রাস্তা সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। পুরসভার নিজস্ব ফান্ড থেকেই এই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। হয়েছে কাজের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডারও। পুজো দোরগোড়ায়। তাহলে বেহাল রাস্তা সংস্কার হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের মধ্যে। 

    পুরবাসীর অভিযোগ, পুজোর আর একমাসও নেই। পুরসভা যদি এর মধ্যেও রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগায় তাহলে পুজোর আগে আদৌ সেই কাজ শেষ করা যাবে তো? আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তাই ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ৩-৬, ৮, ৯, ১১, ১২, ১৪-১৮ ও ২০ নম্বর এই ওয়ার্ডগুলির রাস্তার হাল খুবই খারাপ। পুজোর আগে ভাঙা রাস্তা সংস্কার না হলে ঠাকুর দেখতে গিয়ে হোঁচট খেতে হবে বাসিন্দাদের। 

    পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিক্ষক রাতুল বিশ্বাস বলেন, পুজো এসে গেল। আর কবে শহরের রাস্তা সংস্কার হবে। ১৬ ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিক জ্যোতির্ময় রায় বলেন, সেই কবে থেকে শুনছি রাস্তা মেরামতে অর্থ বরাদ্দ, টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। তাহলে রাস্তা সংস্কার কবে হবে সেটাই তো বুঝতে পারছি না আমরা। 

    পুরসভার এই টালবাহানায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরাও। পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার শান্তনু দেবনাথ বলেন, রাস্তা সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ছ’মাস আগে। এতদিনেও পুরসভা কাজে হাত দিতে পারল না। আর কবে রাস্তা মেরামতে হাত দেবে তৃণমূলের এই পুর বোর্ড? 

    সমালোচনার জবাবে পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর অবশ্য বলেন, কে কি বলছেন জানি না। আসলে আমরা চাইছি বৃষ্টিটা পুরোপুরি বন্ধ হোক। বৃষ্টি পুরো বন্ধ হলেই কাজ শুরু করা হবে। তাতে রাস্তা মেরামতের কাজের মানও ভালো হবে। পুজোর আগে কাজ শেষ করে ফেলা হবে। 

    পুরসভা জানিয়েছে, বেহাল রাস্তা মেরামতে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য ১৩ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ ধরা হয়েছে। রাস্তার সঙ্গে কালভার্টের কাজও হবে। পুর নাগরিকদের অবশ্য দাবি, বৃটি তো বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছে। ফলে রাস্তা মেরামতের কাজে হাত দিতে পুরসভার সমস্যা কোথায়, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। (অল্প বৃষ্টিতেই বেহাল রাস্তা।-নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)