• পর্যটনে নয়া উদ্যোগ, পুজোর মুখে হেল্পলাইন নম্বর চালু জিটিএর, ফোন কলকাতার পর্যটকের
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ঘটনা এক: অনলাইনে একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলকাতার এক পর্যটক। হোটেলের ভালো রুম বুক করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় ওই এজেন্সি। বুধবার ওই পর্যটক দার্জিলিংয়ে এসে দেখেন তাঁর নামে হোটেলে কোনও রুম বুকিং নেই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জিটিএ’র হেল্প লাইনে ফোন করেন। তাঁকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ। 

     ঘটনা ২ : কয়েকদিন আগে দার্জিলিং পাহাড়ে ঘুরতে এসে হৃদরোগে মারা যান কলকাতার এক বাসিন্দা। মিরিকে তাঁর ময়নাতদন্ত হয়। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বুধবার তাঁরা এ ব্যাপারে জিটিএ’র হেল্প লাইনে ফোন করেন। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ওই পর্যটকের ডেথ সার্টিফিকেট পান। 

    এই দু’টি ঘটনা উদাহরণমাত্র। চালু হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই জিটিএ’র হেল্প লাইনে একাধিক ফোন করেছেন পর্যটকরা। সেই নম্বর ৬২৯৬৮৭০০৫০। জিটিএ’র পর্যটন বিভাগের আহ্বায়ক দাওয়া শেরপা বলেন, পর্যটকদের সহায়তা করতেই ওই নম্বর চালু করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত নির্দিষ্ট ওই নম্বরে ফোন করে সহায়তা নিতে পারবেন পর্যটকরা। এই নতুন উদ্যোগ এবার পুজোয় পাহাড়ে পর্যটকরা ব্যাপক সুবিধা পাবেন।  বিশেষ করে মহিলা পর্যটকদের সুবিধা হবে বেশি। 

    প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগেই পর্যটকদের জন্য অ্যাপ চালু করে জিটিএ। তাতে পাহাড়ের বিভিন্ন হোটেল ও হোমস্টে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এবার জিটিএ কর্তৃপক্ষ হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চৌরাস্তায় ট্যুরিস্ট ইনফর্মেশন সেন্টার চালু করবে জিটিএ। জিটিএ’র পর্যটন বিভাগের আহ্বায়ক বলেন, ওই সেন্টার থেকে পর্যটকরা পাহাড় ভ্রমণের বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পারবেন। দর্শনীয়স্থান, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার রাস্তা, হোটেল, লজ, হোমস্টে, ট্যুরিস্ট ট্যাক্সি প্রভৃতি সংক্রান্ত তথ্য সহজেই পাবেন। গাইডের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এজন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে বেশকিছু গাইড তৈরি করা হয়েছে। এতে গাইডদের কর্মসংস্থান হবে। তবে অনলাইনে হোটেল বুকিং করার ব্যাপারে পর্যটকদের সতর্ক হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গজিয়ে ওঠা ট্রাভেল এজেন্সির উপর ভরসা করলে চলবে না। সামান্য অর্থ বেশি লাগলেও নথিভুক্ত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমেই হোটেলের রুম বুকিং করা উচিত। তাছাড়া দার্জিলিং জেলা পুলিস ও জিটিএ’র 

    অ্যাপে রেজিস্টার হোটেল, লজ, হোমস্টের নাম ও নম্বর দেওয়া রয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)