• আবাসনে দুষ্কৃতী পাঠানোয় হাত এক পুলিসকর্মীর, অভিযোগ বিচারকদের
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবাসনের বাইরে দুষ্কৃতী ঘোরাঘুরির ঘটনায় সরব হলেন ডায়মন্ডহারবার আদালতের বিচারকরা। জেলা জজ ও  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। বিচারকদের দাবি, দুষ্কৃতী পাঠানোর পিছনে হাত রয়েছে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলায় কর্তব্যরত কুমারেশ দাস নামে এক পুলিসকর্মীর। ঘটনা সামনে আসতেই সব মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নড়েচড়ে বসেছেন পুলিস জেলার শীর্ষ কর্তারাও। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিস সুপার রাহুল গোস্বামী জানান, একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই পুলিসকর্মীকে ক্লোজ করে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে উত্তর চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। এছাড়াও শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। 

    বিচারকদের অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ডায়মন্ডহারবার আদালতের এসিজেএম জানতে পারেন, কুমারেশ দাস নামে এক পুলিসকর্মী দু’জনকে বিচারকদের আবাসনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে পাঠাচ্ছেন। বিচারক এবং তাঁদের পরিবার ও অন্যান্য আবাসিকদের ক্ষতি করতে পরিকল্পনা করা রয়েছে। গোটা ষড়যন্ত্রে ডায়মন্ডহারবার থানার এক পুলিসও যুক্ত রয়েছে। ওই দু’জনকে যাতে আবাসনে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, কর্তব্যরত হোমগার্ডদের সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। রাত ১টা ১০ মিনিটে একজন ব্যক্তিকে মুখ ঢাকা অবস্থায় আবাসনের গেটের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সে হোমগার্ডদের বলে  গেটের ভিতর ঢুকতে চাইছিল। গোটা ঘটনা সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়েছে। বিপদ হতে পারে বুঝে রাত ১টা ১৩ মিনিটে ডায়মন্ডহারবার থানার আইসি’কে ফোন করে বিষয়টি জানান এসিজেএম। এরপর পুলিস এসে বিচারকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চত করে। তার আগেই ওই দুষ্কৃতী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বেশ কিছু পকসো মামলার রায়দান নিয়ে হয়তো কেউ বা কারা অখুশি হয়েছেন। সেই কারণে দুষ্কৃতী পাঠিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি বিচারকদের। গোটা ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। 

    এই ঘটনার পর এদিন ডায়মন্ডহারবার আদালতে জেলা জজ, সিজেএম এবং পুলিস জেলার পদস্থ কর্তা বৈঠক করেন। সেখানে নিরাপত্তার ব্যাপারে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়। এদিকে, সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিস সুপার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিচারকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও আপস করা হবে না। বিচারকদের আবাসনে চারজন নিরাপত্তারক্ষী থেকে বাড়িয়ে ন’জন করা হবে। পরে সেটা আরও বাড়বে। ভিজিটর রেজিস্টার চালু ও মেটাল ডিটেক্টর বসানোরও কথা ঠিক হয়েছে। এদিকে, বিচারকদের নিরাপত্তার দাবি তুলে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।  
  • Link to this news (বর্তমান)