• দোকানের শাটার বন্ধ করে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণ, হুমকি
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার মেটিয়াবুরুজ। খাস কলকাতায় ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। যা নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেটের ভিতরে দোকানের শাটার বন্ধ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা মানসিক ভারসাম্যহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম। চোখেও দেখতে পান না। নির্যাতিতার বয়স ২৩ বছর। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ওয়াটগঞ্জ মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম সুমিত আগরওয়াল হরলালকা। হাওড়ার বাসিন্দা সে। মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকার এ-১ মার্কেটে তার জামাকাপড়ের দোকান রয়েছে। সেখানেই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ৭ জুলাই। তবে প্রকাশ্যে এসেছে সদ্য। 

    কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকায় আকড়া রোডের উপরে একটি বড় শপিং মল রয়েছে। সেখানেই দোতলায় দোকান রয়েছে সুমিতের। নির্যাতিতা তরুণীও ওই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের সঙ্গে এই ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। নানা অছিলায় বারবার দোকানে ডেকে পাঠানো হতো তরুণীকে। তাঁর পরিবারও সরল বিশ্বাসে বাড়ির পাশের মার্কেটে ব্যবসায়ীর দোকানে পাঠাত। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তরুণীর মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে চলত যৌন হেনস্তা। কিন্তু, পরিবারের সদস্যরা কিছুই জানতেন না। ঘটনার খোলসা হয় মঙ্গলবার। আচমকাই গোপনাঙ্গের একাধিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন তরুণী। তখনই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয় পরিবার। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর চিকিৎসক বুঝতে পারেন তরুণীর সঙ্গে দিনের পর দিন ধরে যৌন নির্যাতন চলেছে। বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীর বাবা-মাকে চিকিৎসক বিষয়টি বলেন। এরপরেই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তখনই কাঁদতে কাঁদতে ঘটনার কথা বলেন তরুণী। জানা গিয়েছে, প্রথম প্রথম শরীরের একাধিক জায়গায় স্পর্শ করত এই ব্যবসায়ী। তখনও পরিবারকে অভিযোগ না করায় দিনের পর দিন দোকানে ধর্ষণ করত অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, কাউকে কিছু বললে খুন করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি পুলিসের। 

    লালবাজার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে মেটিয়াবুরুজ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা। সেখান থেকে মামলার তদন্তভার নেয় ওয়াটগঞ্জ মহিলা থানার পুলিস। চিকিৎসকের মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ নম্বর ধারায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পুলিস। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে কতদিন ধরে তরুণীর ওই মার্কেটে যাতায়াত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, তরুণীর গোপন জবানবন্দির ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)