• ‘ঘুরতে যাবি’ বললেই পা তুলে ইশারা, মালিকের কাঁধে চেপে ঘুরে বেড়ায় টিয়া
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পোষ্য হিসেবে ৯ মাস ধরে থাকে বাড়িতে। এর মধ্যেই মালিকের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ছোট্ট টিয়া পাখি মিঠু। আকবর মণ্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁর দৈনন্দিন সফরসঙ্গী হয়ে উঠেছে টিয়াটি। তাকে বাড়িতে রেখে কোথাও বেরতে পারেন না আকবর। একবার দরজার আওয়াজ পেলেই পা তুলে ইশারা করে জানান দেয় যে, তাকেও নিয়ে বেরতে হবে। না নিলেই চিৎকার শুরু। সোনারপুরের চৌহাটির ধামাইতলার বাসিন্দা আকবর মণ্ডল। তিনি জানান, বাচ্চা অবস্থায় পাখিটিকে একটি হাট থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। খাঁচায় রেখে খাওয়াতাম। এখন অল্প অল্প কথা বলতে শিখেছে। পাখিটির প্রতি মায়া তৈরি হয়েছে। আগে যখন বাড়ি থেকে কাজে বেরতাম মিঠুর সঙ্গে কথা বলে চলে যেতাম। এখন বেড়াতে যাবি, বললেই পা তুলে ইঙ্গিত করে বোঝানোর চেষ্টা করে যাতে ওকে আমি নিয়ে যাই। কাজে বা অন্য কোথাও গেলে কাঁধে, কখনও আবার সাইকেলে বসিয়ে পায়ের সঙ্গে ছোট্ট দড়ি বেঁধে নিয়ে বেরন ৭৪ বছরের আকবর। 

    পাখিটির প্রিয় খাদ্য হচ্ছে সূর্যমুখীর দানা। আকবরবাবুর সঙ্গে থাকেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে। তাঁরাও যত্ন নেন মিঠুর। কিন্তু সবাইকে ছেড়ে আকবরের সঙ্গেই পাখিটির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এখন কাঁধে নিয়ে ঘুরলেও অনেক সময় তার পায়ে দড়ি বাঁধেন না। পাখিটি কখনও মালিককে ছেড়ে উড়ে যায়নি। আকবরের কথায়, আমায় খুব ভালোভাবে চিনেছে মনে বলে মনে হয়। তাই খাঁচার বাইরে এনে নিয়ে বসলে বা ঘুরতে বেরলে উড়ে যায় না। সাইকেল চালালে যেহেতু হাওয়ার গতি থাকে সে কারণে ওর পা হ্যান্ডেলের সঙ্গে বেঁধে দিতে হয়। আকবরের ব্যাগে সর্বদা থাকে সূর্যমুখী বীজ এবং ওআরএসের জল। গরম বেশি লাগলে চামচে করে মিঠুকে তা খাইয়ে দেন। এভাবে দু’জনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)