• সময়ের আগে ছেড়ে দেওয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে জখম একাধিক যাত্রী
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নির্ধারিত সময়ের থেকে কম সময় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল ট্রেন। ফলে ভিড় ঠেলে নামতে পারেননি অনেকেই। বাধ্য হয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে জখম হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-আমতা শাখার পাতিহাল স্টেশনে। ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। শেষমেশ ট্রেন চালক ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদিও রেলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    হাওড়া-আমতা শাখায় দিনে হাতেগোনা কয়েকটি ইএমইউ বা লোকাল ট্রেন চলাচল করে। ট্রেন ধরার জন্য অফিস টাইমেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় নিত্যযাত্রীদের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই শাখার ট্রেনগুলিতে প্রতিদিনই ব্যাপক ভিড় হয়। বিশেষ করে জগৎবল্লভপুরের পাতিহাল স্টেশনে সন্ধ্যার পর কয়েকশো যাত্রী ওঠানামা করেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার আমতাগামী লোকালে ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। পাতিহাল স্টেশনে ট্রেনটির ৩০ সেকেন্ড দাঁড়ানোর কথা থাকলেও মাত্র ১৫ সেকেন্ড দাঁড়ানোর পরেই ছেড়ে দেয়। ততক্ষণে অধিকাংশ যাত্রী ট্রেন থেকে নামতে পারেননি। বাধ্য হয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে যাত্রীরা ঝাঁপ দিতে শুরু করেন। প্ল্যাটফর্মে পড়ে গিয়ে জখম হন এক মহিলা সহ মোট সাতজন যাত্রী। কারওর হাতে, পায়ে, আবার কারও মাথায় চোট লাগে বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

    এরপরেই স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা। ট্রেনটি ঘণ্টাখানেক পর আমতা থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে পাতিহাল স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ। ট্রেন চালককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত চালক ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিলে যাত্রীরা বিক্ষোভ তুলে নেন। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারী যাত্রীদের একাংশ বলে, ‘প্রায়ই এই স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কম সময় ট্রেন দাঁড়ায়। চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কারওর প্রাণহানিও হতে পারত।’ দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, ‘সময়সূচি মেনেই ট্রেনটি পাতিহাল স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। ঘটনার পরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হয়। চালক বা গার্ডের ভুল ছিল না।’
  • Link to this news (বর্তমান)