• পুজোর মধ্যেও আন্দোলন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাক, মানুষই রুখে দেবে রাজনৈতিক অপপ্রচার, জানেন উদ্যোক্তারা
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘও দেখা দিয়েছে। পুজোর আর একমাসও বাকি নেই। এই সময়টার জন্য বছরভর অপেক্ষায় থাকে গোটা রাজ্য-দেশ কিংবা বিশ্বের সব বাঙালি। পুজো আসছে…

    এ বছর এক আশ্চর্য পরিস্থিতি! শহরজুড়ে আন্দোলন চলছে। তার বিক্ষিপ্ত আঁচ পড়ছে পুজোর উপরও। একদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে পুজোর মধ্যেও আন্দোলন চালানোর ডাক দিচ্ছেন। অন্যদিকে পুজোর সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার উদ্যোক্তা, লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী, লক্ষ লক্ষ ব্যবসায়ী, কোটি কোটি দর্শক সুষ্ঠুভাবে পুজো হবে বলে শুরু করে দিয়েছেন প্রস্তুতি। পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ‘নির্যাতিতা সঠিক বিচার পান। এ দাবি আমাদেরও। কিন্তু পুজো কি দোষ করল।’ তাঁদের মধ্যে অনেকে মনে করছেন, ‘এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে। উত্সব বয়কটের বিষয়টি সেই রাজনীতিরই অংশ।’ শহরের নামকরা পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ‘এই রাজনীতির জবাব দেবেন জনতাই।’ পুজো রাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা করে। ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষদের মুখে হাসি ফোটায়। 

    তবে এর মধ্যে কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাক, ‘এবার পুজোয় জাস্টিস লেখা টি শার্ট পরতে হবে। বড় পুজোর বাইরে জমায়েত করতে হবে। বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদেরকেও প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান।’ এই আবহে পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য কি? তারা ঠিকমতো বিজ্ঞাপন পাচ্ছেন? স্টল বুকিং হচ্ছে? 

    নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপের চারপাশে খাবার-দাবার সহ নানা ধরনের স্টল বসে। পুজো উদ্যোক্তা স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘যাঁরা দুর্গাপুজোকে নিয়ে এসব করছেন, তাঁদের বলব এত পাপ করবেন না। যে পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে, আমরা তার বিচার চাই। কিন্তু বছরে একবার মা আসেন। আমরা অনেক ছোট দোকানদারকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিই। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও বেশিরভাগ স্টল বুক হয়ে গিয়েছে।’ সুরুচির পাশেই চেতলা অগ্রণী। উদ্যোক্তা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যে ফুচকাওয়ালা, বেলুনওয়ালা, ঢাকিরা সারা বছর পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাঁদের কথাও ভাবতে হবে। পুজোর সঙ্গে আন্দোলনের বিরোধ নেই। কিন্তু পুজোর বিরুদ্ধে কেন বলা হচ্ছে? আমরাও তো বিচারের জন্য বলছি।’ তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত স্টল বুকিং ভালোই চলছে। সন্তোষপুর লেক পল্লির পুজো উদ্যোক্তা সোমনাথ দাস বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই রাজনৈতিক চক্রান্তের জবাব জনতাই দেবেন। আমাদের স্টল, স্পনসরের অবস্থা খুব ভালো। প্রায় সব স্টল ইতিমধ্যেই বুক হয়ে গিয়েছে।’ উত্তরের বাগবাজার সর্বজনীনের উদ্যোক্তা গৌতম নিয়োগী বলেন, ‘বড় সংস্থা থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও বহু ফোন আসছে। কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে পুজো নিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন।’
  • Link to this news (বর্তমান)