রীতিমতো স্নায়যুদ্ধ চলছে। সরকার যখন আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছে, তখন নিজেদের ৫ দফায় দাবিতেই অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনাস্থলে আন্দোলনকারী বলেন, 'চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মন্তব্য বেদনাদায়ক। ৯৩ হাজারের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার। স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়লে দায় স্বাস্থ্য দফতরেরই। কেমন পরিকাঠামো তাহলে'? তাঁদের কথায়, 'ভোর ৩টে ৪৯ এ মেল। আমাদের ঘুম নেই। যারা এরমধ্যে রাজনিতি দেখছেন, তারাই আসলে রাজনীতি করছেন। আমরা এখনও অপেক্ষায়। আপনারা নবান্নের এসিতে হতাশ। আমরাও রাজপথে হতাশ। আমরা আশা করেছিলাম সরকার মান্যতা দেবেন। মান্যতা দিলে কাজে ফিরব'।
এর আগে, আজ বুধবার আলোচনার বসার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের ফের চিঠি দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু বৈঠকে বসার জন্য পাল্টা শর্ত দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'আসলে রাজনীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেই এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ। আজও তাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা কিছু শর্ত দিলেন। জনসাধারণের কাছে স্পষ্ট করে দিতে চাই রাজ্য সরকার চাইছে খোলা মনে আলোচনা করতে। কোনও শর্ত রেখে নয়। খোলা মন ও শর্ত একসঙ্গে চলে না। অর্থাত্ খোলা মন নেই। পেছনে হয়তো রাজনীতির খেলা রয়েছে। তাই শর্ত আরোপ করা হয়েছে'।