আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় ইডি, ২ জায়গায় চলছে তল্লাশি
এই সময় | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইডি-র নজরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দু'জায়গায় চলছে তল্লাশি। এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ টালার একটি বহুতল আবাসনে হানা দেয় ইডি। সেই আবাসনের পাঁচতলায় থাকেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ 'ঘনিষ্ঠ' ব্যবসায়ী চন্দন লৌহ। এছাড়াও কালিন্দির একটি মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থায় চলছে তল্লাশি।আরজি করের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল সন্দীপের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, আরজি করের মধ্যে চন্দনের স্ত্রী ক্ষমা লৌহের একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে এর টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর জন্য কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।
আখতার আলি আরজি করের অন্দরে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর সরাসরি নিশানা ছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইডি তদন্ত চেয়ে তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। আদালত ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত শুরু করেছে ইডিও।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষ-সহ সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসর আলিকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আফসর সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন, উঠে এসেছে এমনই তথ্য। বিপ্লবের সংস্থা হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও সুমন হাজরার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই তিনজনকেই অনিয়ম করে একাধিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।