• ডেঙ্গু মশার চিহ্নিত ৩ লক্ষ আঁতুড়ঘর নিয়ে জেলাগুলির উপর চাপ রাজ্যের  
    বর্তমান | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত দপ্তরের জেলাওয়াড়ি সমীক্ষা রিপোর্টে (৯ সেপ্টেম্বরের) উঠে এসেছে সেই তথ্যই। ওই তিন লক্ষ স্থানে সাফাই না-হওয়া নর্দমা, অস্বাভাবিক জমা জল প্রভৃতি পাওয়া গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, মশাবাহিত রোগদমনে যুক্ত কর্মীরাই ওই জায়গাগুলি চিহ্নিত করেন। এরপর পঞ্চায়েতের সাহায্যে জমা জলা বা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু অনেক জেলাতেই এই ব্যাপারে গড়িমসি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের মত, ডেঙ্গুর মশা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস করা দরকার। এসব কাজ ফেলে না-রাখার জন্যই জেলাগুলরি উপর চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? দপ্তর এবং জেলাগুলির একাংশের দাবি, মশাবাহিত রোগনিধনে যুক্ত কর্মীদের সমীক্ষা হয় ঠিকমতো হচ্ছে না, অথবা তাঁরা জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করছে। বাড়িতে জমা জল কিংবা সাফাই না-হওয়া নর্দমা—দুটি ক্ষেত্রেই ডেঙ্গুর মশার লার্ভা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। রিপোর্ট বলছে, উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার, দার্জিলিং, নদীয়াসহ অনেক জেলায় বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ চিহ্নিত হয়েছে। তবু সেসব স্থানে এখনও উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই পঞ্চায়েতগুলিকে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)