• সন্দীপ ঘনিষ্ঠ একাধিক চিকিৎসককে কোণঠাসা করা হল, ব্যানড হলেন অভীক দে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তা নিয়ে এই বাংলা উত্তাল হয়েছে। রাজপথে নেমেছে মানুষ। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন। ইতিমধ্যেই তার জেরে ২৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায় বলে অভিযোগ। এই আবহে দুর্নীতি এবং থ্রেট কালচারের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক সুশান্ত রায়, তাপস চক্রবর্তী, অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধেই নানারকমের প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হলো। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দড়ি টানাটানি এখনও চলছে। সেটা আজ অথবা কাল মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে বারবার স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএসকেএম ও আরজি কর হাসপাতালে অভীক দে–সহ সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। আর অভীক এবং সুশান্ত, তাপস ও বিরূপাক্ষকেও সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল ছিলেন তিনি।


    ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষই হবে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তার সঙ্গে থাকবেন নার্স, জুনিয়র ডাক্তার এবং স্থানীয় থানার পুলিশ। রাজনীতি বাদ রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এসএসকেএম হাসপাতালের ডিন অভিজিৎ হাজরা সেখানকার জেনারেল সার্জারির প্রধান চিকিৎসক অভিমন্যু বসুকে চিঠি দিয়ে জানান, সার্জারির পিজিটি অভীকে দে’‌কে সাসপেনশনের কারণে কোনওভাবে যেন কলেজে বা হস্টেলে ঘেঁষতে দেওয়া না হয়। রোগী পরিষেবা ও অ্যাকাডেমিক কাজকর্ম থেকে যেন তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    এই বিষয়টি নিয়ে এখন এসএসকেএম চত্বরে চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করল আরজি কর হাসপাতালের কলেজ কাউন্সিল। নিষিদ্ধের তালিকায় আছেন ২০ জন হাউসস্টাফ, ১১ জন ইন্টার্ন, ১৭ জন ডাক্তারি পড়ুয়াও। আরজি কর হাসপাতালের যাবতীয় কাজকর্ম থেকে তাঁদের সকলকে সাময়িক বরখাস্ত করে নোটিশ জারি করেছেন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ও উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)