ওই অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। রনিকের ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিস জানাতে পারে রনিক কলকাতায় রয়েছে। উদ্ধারের চেষ্টা করে পুলিস। এভাবেই ১১ দিন গড়িয়ে যায়। বুধবার গোপন সূত্রে পুলিস খবর পায় রনিক রয়েছে শিলিগুড়িতে।
ওই খবর পেয়েই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে রাজু নোপালি রনিকের মা ও অন্যান্য আত্মীয়সজনকে নিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছে যান। অবশেষে শিলিগুড়ির পি সি মিত্তল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রনিককে উদ্ধার করা হয়।
মাল থানা সূত্রে খবর ওদলাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রনিককে জলপাইগুড়ি কোরোক হোমে পাঠানো হয়েছে। পরে তাকে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ডুয়ার্স এক্সপ্রেস মেল নামের ওই সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে ডুয়ার্স এলাকায় মানব পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করে চলছে। রাজু নেপালী জানান, খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ওই ছাত্রকে উদ্ধার করি। নিয়ম অনুযায়ী পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে এই ছাত্রের বাবা মারা যায়। মা সংসার চালান। কেউ তাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এরকম ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। তবে পুলিস তদন্ত করছে এই কাজে কোন চক্র আছে কি না? ছেলেকে পেয়ে কেঁদেই চলেছে ছাত্রের মা।