স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে গড়াচ্ছে না ট্রাকের চাকা। ঢুকছে না ভিনরাজ্যের ট্রাকও। আর তারই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রাক ধর্মঘট। চলবে আগামিকাল শুক্রবার পর্যন্ত। ভিনরাজ্য থেকে আসা মাছ, ডিম, বিভিন্ন কাঁচা আনাজ এবং ফলের পাইকারি বাজারে জোগানে ইতিমধ্যেই টান পড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর জোগানও ব্যাহত হচ্ছে।
পুজোর মুখে ‘ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকে টানা তিন দিনের এই ধর্মঘটে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের ট্রাকমালিক সংগঠনের ডাকা ওই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে ভিন রাজ্যের ট্রাকমালিকদের একাধিক সংগঠন। তবে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাক ধর্মঘটের তেমন কোনও প্রভাব এরাজ্যে নেই। বহু ট্রাক চলছে। তিনি বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সামাধান হতে পারে। কিন্তু কিছু স্তব্ধ করে দেওয়াকে মানুষ সমর্থন করে না।’’
সর্বভারতীয় সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস’-ও নৈতিকভাবে রাজ্যের সংগঠনের ওই ধর্মঘট এবং ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি সমর্থন করেছে। ট্রাক ধর্মঘট সফল বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ।