এই সময়, দুর্গাপুর: তদন্ত শুরু হয় দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলার থেকে ছিনতাই হওয়া ১ কোটি ১ লাখ টাকার সন্ধান পেতে। আর তাতেই সামনে এসেছে কালো টাকা সাদা করার একটি বড়সড় চক্র। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে। এ বার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে অভিযান চালিয়ে আর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মধুসূদন বাগ।মঙ্গলবার রাতে মধুসূদনকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। বুধবার সকালে ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তার বক্তব্য, ‘কালো টাকা সাদা করার কারবারে মধুসূদন একজন সদস্য। আরও কয়েকজন এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছে পুলিশ। সেই মতো চলছে তদন্ত। বুধবার আদালতে পেশ করার সময়ে মধুসূদন বলেন, ‘ব্যবসায়ী মুকেশ তাঁর অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন। এই লেনদেনের ঘটনায় ঠাকুরদা নামে এক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন। তাঁর মাধ্যমেই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে।’
গত ৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পিয়ালা কালীমন্দিরের কাছে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। এর পর একে একে দুর্গাপুর থানার এএসআই অসীম চক্রবর্তী, সিআইডির কনস্টেবল চন্দন চৌধুরী, বহিষ্কৃত পুলিশকর্মী মৃত্যুঞ্জয় সরকার-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ৬ জনকে জেরা করে সোমবার রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ জয়সওয়াল ও অজয় দাসের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
দু’টি বাড়ি থেকে একাধিক দামি গাড়ি, মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পৃথ্বীরাজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কয়েক লক্ষ টাকা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও টাকা গোনার মেশিন। এর পরেই গ্রেপ্তার করা হয় পৃথ্বীরাজের স্ত্রী রাধিকা জয়সওয়ালকে। পৃথ্বীরাজ ও অজয় এখনও পলাতক। এ দিকে, বুধবার হিন্দুস্তান কেবল্স রোডের পাশে ডিএভি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ জমিতে তৈরি পৃথ্বীরাজের একটি রেস্তোরাঁ থেকে আরও একটি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।