শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত। আরজি কর রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তিনি। দলের অন্দরে শান্তনু সেনের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত এই চিকিত্সক-বিধায়ক। আরজি করে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সেই সুদীপ্তের বাড়ি, এমনকী, নার্সিংহোমেই হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল তল্লাশি। কবে? আজ, বৃহস্পতিবার।
আরজি কর দুর্নীতি মামলায় এখন সিবিআইয়ের হেফাজতে সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বেলেঘাটার বাড়ি থেকে আরজি করে যাওয়ার পথে একাধিক ব্যক্তিকে ফোন করেন হাসপাতালের তত্কালীন অধ্যক্ষ। যাঁদের ফোন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই সুদীপ্ত। পরে ঘটনাস্থলেও গিয়েছিলেন তিনি। কেন? সন্দীপের সঙ্গে ফোনে কী কথা হয়েছিল তৃণমূলের বিধায়কের? জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন চিকিত্সক পলি সমাদ্দার। ৯ অগাস্ট হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। বাইরে তখন পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলছে। সেমিনার হলে গিয়ে নিহত চিকিত্সকে পরীক্ষার করেন পলি এবং দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ডেথ সার্টিফিকেট দেন। সিবিআই সূত্রে খবর, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? তা জানার জন্য আরজি করের ইর্মারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার পলিকে তলব করা হয়। নিহত চিকিত্সককে কেন ইমারজেন্সিতে কেন নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল না? তাও জানতে চান তদন্তকারীরা।