প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন ইডি দুর্নীতির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। টাকা নিয়ে যে দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে তারও কোনও প্রমাণ নেই। দীর্ঘ দিন তিনি নিজেই আদলতে সওয়াল করেন কোনও আইনজীবী ছাড়াই। শেষপর্যন্ত তাঁকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে, মানিককে জামিন দেওয়া হলেও তাঁকে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শর্ত। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে, তদন্তে সাহায্য করতে হবে, আদালতে হাজিরা দিতে হবে, তদন্তকারী অফিসারকের মোবাইল নম্বর দিতে হবে, সাক্ষীর উপর প্রভাব খাটানো যাবে না, তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে যেতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রাথমিকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকেই অন্যতম অভিযুক্ত করা হয়। সেই মানিক এতদিন পর জামিন পেলেন। এর আগে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান।
একসময় আদালতে সওয়াল করার সময়ে কেঁদে ফেলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর শুনানির সময় তাঁর ছেলে ও স্ত্রী হাজির থাকতেন। ছেলের বিরুদ্ধে টাকা সাইফন করার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ থেকে তাকে রেহাই দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মানিকের স্ত্রীকে জামিন দেয় হাইকোর্ট।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে মানিককে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। কারণ মানিকের কাছে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। এবার ইডির মামলা থেকে জামিন পাওয়ার ফলে তার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে আর খুব বেশি বাধা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।