আরজি কর কাণ্ডে এ বার তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিবিআই আধিকারিকেরা সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির মোড় সংলগ্ন বিটি রোডের বাড়িতে হানা দেন। বিধায়কের মালিকানাধীন বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একটি টিম।প্রসঙ্গত, সুদীপ্ত রায় হুগলির শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও। সুদীপ্ত রায় রাজ্যের হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি। সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকেরা সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দেন। সেই সময় নীচের তলায় অফিস ঘরে ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তদন্তকারীদের একটি দল তাঁর বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমটিতেও তল্লাশি চালায়। তিন জন সিবিআই আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিধায়ককে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সিবিআই চলে যাওয়ার পর সুদীপ্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত চলছে। আমি তদন্তকারীদের সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।’ সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতেই তাঁর বাড়ি ও নার্সিংহোমে যাওয়া হয়েছিল। সুদীপ্ত রায় যেহেতু আরজি করের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, সেই কারণে আরজি করে মূল ঘটনা সম্পর্কিত একাধিক বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বর্তমানে তদন্ত করছে সিবিআই। এর মাঝেই আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টিও সামনে এসেছে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্তের ভূমিকা বর্তমানে তদন্তকারীদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে। সেই কারণেই তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয় বলে জানা গিয়েছে।