• ফ্রেজ়ারগঞ্জে নকল সোনা বিক্রির চক্র! খদ্দেরদের কম দামে সোনার টোপ দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ, ধৃত ৩
    আনন্দবাজার | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আবারও নকল সোনা বিক্রির চক্রের সন্ধান দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এ বার ঘটনাস্থল ফ্রেজ়ারগঞ্জ থানা এলাকার পূর্ব অমরাবতী। ওই এলাকায় যে সন্দেহজনক কি‌ছু চলছিল, সেই খবর গিয়েছিল পুলিশের কানে। সেই মতো বুধবার রাতে পূর্ব অমরাবতীর একটি বাড়িতে অতর্কিত হানা দেয় পুলিশের একটি দল। ওই অভিযানেই নকল সোনা বিক্রি চক্রের তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মোরসেলিম হাইক, রোহন শেখ ও তাপস দলুই। তিন জনেরই বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের থেকে দু’টি পৃথক প্যাকেটে সোনালি রঙের পিন পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলিও। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    গত জুলাই মাসেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে সাদ্দাম শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশের একটি দল। সেখানেও নকল সোনার কারবারের অভিযোগ উঠেছিল এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল পুলিশ। সেই অভিযানে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন জন পুলিশকর্মী। পরবর্তী সময়ে সেই সাদ্দামের বিষয়ে একের এক এক তথ্যের হদিশ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এ বার ফের নকল সোনা বিক্রি করে প্রতারণা চক্রের সন্ধান মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছে আসল সোনার পিন ও অনুরূপ সোনালি রঙের পিন থাকত। খদ্দেরদের প্রথমে সোনার পিনের নমুনা দেখাতেন তাঁরা। এর পর দরদাম হয়ে যাওয়ার পর, টাকা পয়সা নিয়ে সোনালি রঙের ওই নকল পিনগুলি বিক্রি করে দিতেন।

    সুন্দরবন পুলিশ জেলার তরফে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, “বুধবার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলীয় থানায় খবর আসে, পূর্ব অমরাবতীর একটি বাড়িতে সন্দেহজনক কিছু ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সন্দেহজনক কিছু বস্তু রয়েছে। সেই মতো ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করে। ওই তল্লাশিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ধৃতদের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, একটি প্যাকেটে ১৯টি সোনার মতো দেখতে পিন এবং অন্য একটি প্যাকেটে প্রায় ৫০০ গ্রাম সোনার মতো দেখতে পিন পাওয়া যায়। একটি বাইকও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।”

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, কিছু আসল সোনার পিন সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে, প্রথমে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতেন অভিযুক্তেরা। তারপর বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে সেগুলি বিক্রির কথা বলতেন। এই ফাঁদে যাঁরা পা দিতেন, তাঁদের নকল পিন দেওয়া হত। এই প্রতারণার কাজ অনেকদিন ধরেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্তেরা। অন্যান্য থানাতেও এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)