আরজি কর কাণ্ডে এবার তৎপর ইডি। হাসপাতালে দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জেলে আছেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর আজ সেই সন্দীপেরই পৈত্রিক বাড়িতে পৌঁছলেন ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, চিনারপার্কে রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাবার বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ছান ইডির তদন্তকারী আধিকারীকরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান যে ঘরের তালা বন্ধ। প্রতিবেশী একজনের কাছ থেকে বাড়ির সদর দরজার চাবি নিয়ে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন যে সব ঘরে তালা দেওয়া। তার পর চাবিওয়ালাকে ডেকে এনে তাঁরা প্রতিটি ঘরের দরজা খোলেন।
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রতিবেশীরা দাবি করছেন, আরজি কর ঘটনা হওয়ার একমাস আগেই সন্দীপ ঘোষের বৃদ্ধ বাবা-মা দিল্লি চলে গিয়েছেন। তাঁরা নাকি সেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন। এদিকে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন না। তবে মাঝে মধ্যেই সন্দীপ সেই বাড়িতে আসতেন। বাবা-মায়ের বাজার করে দিয়ে যেতেন। কিন্তু গত একমাস ধরে তাঁদের কাউকেই এখানে আর দেখা যায়নি। এদিকে আজ তদন্তকারীরা সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালাতে শুরু করলে এলাকার মানুষ জড়ো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তুলতে থাকনে।
এদিকে আজ শুধুমাত্র সন্দীপের বাবার বাড়িতেই নয়, আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে আরজি কর দুর্নীতি মামলায়। জানা গিয়েছে, আজ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ চন্দন লৌহর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাশাপাশি কালিন্দী হাউজিং এস্টেটেও হানা দিয়েছে ইডি। দুই জায়গাতেই চলছে তল্লাশি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ টালা এলাকায় চন্দন লৌহের ফ্ল্যাটে হানা দেয়। আরজি কর হাসপাতালে তাঁর একটি ফুড স্টল রয়েছে। অভিযোগ, বেআইনিভাবে চন্দন লৌহকে এই ফুড স্টলের টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ চন্দন লৌহর বিরুদ্ধে। এর আগে সিবিআই-ও একাধিকবার চন্দন লৌহকে আরজি করের দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। চন্দন লৌহের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে আজ কালিন্দী হাউজিং এস্টেটে অকটেন মেডিক্যালের অফিসেও অভিযান চলছে। জানা গিয়েছে, বছর দুই আগে থেকে এই অফিস শুরু হয়। দেবদত্ত চ্যাটার্জি নামক এক ব্যক্তি এই অফিসের মালিক। আরজি কর হাসপাতাল এই কোম্পানি থেকে বেশ কিছু মেশিন কিনেছিল বলে জানা যায়। তবে বাজার দর থেকে এই সংস্থা থেকে সেই মেশিনগুলি বেশি দামে কেনা হয়েছিল বলে অভিযোগ।