• ‘চেয়ারে ভরসা রেখেই এসেছিলাম’, বৈঠক না হওয়ায় ‘হতাশ’ ডাক্তাররা
    এই সময় | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নবান্নে পৌঁছে গেলেও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হলো না। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা এখনও আশা রাখছি। এই চেয়ারে ও এই বিল্ডিংয়ে ভরসা আছে। তাই আমরা অপেক্ষা করছি। নবান্নের দরজা বন্ধ হচ্ছে। আমরা আশা রাখব, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’বিকেল পাঁচটায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করা নিয়ে অনড় ছিলেন ডাক্তাররা। প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু আশা করি, মানুষ বুঝেছেন, ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়।’

    এর পাল্টা জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘চেয়ারের জন্য নয়, চেয়ারে ভরসা রেখেই আমরা আলোচনার জন্য এসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে আমরা হতাশ। আমরা এখনও আশা রাখছি। এই চেয়ারের প্রতি আমাদের ভরসা এখনও আছে। তাই আমরা অপেক্ষা করছি এখনও।’ নবান্ন সভাঘরের কাছেই অপেক্ষায় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা এদিন বলেন, ‘চেয়ারের জন্য কোনও আলোচনা করতে আসিনি। আপনি ভুল ভেবেছেন। আমরা এসেছিলাম ন্যায় বিচারের দাবিতে। যাতে আলোচনা হয়, সেই দাবিতে এসেছিলাম।’ তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা নবান্নে বৈঠক করতে এসেছিলাম। আমাদের পাঁচ দফা দাবি ছিল। কিন্তু, বৈঠক না হওয়ায় সবাই হতাশ বলে জানান জুনিয়র ডাক্তাররা।

    বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে এক প্রতিনিধি বলেন, ‘সবাই নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের জন্য তাকিয়ে ছিলেন আমাদের দিকে। তাই আমরা চেয়েছিলাম এই বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করা হোক। এখানে আসার পর, আমরা নবান্নের আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। আমাদের ফোন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখনই জানতে পারি, সরাসরি সম্প্রচারের দাবি ওঁরা মানতে পারছেন না।’ প্রশাসনিক জটিলতার জন্যেই এই বৈঠক হলো না বলে জানান তাঁরা।
  • Link to this news (এই সময়)