• ‘বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি’, নবান্নে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    এই সময় | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ‘ডাক্তারদের অনুরোধ করছি, কাজে ফিরুন।’ নবান্ন সভাঘরে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ার পর স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম।’নবান্ন সভাঘরে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করার শর্ত নিয়ে অনড় ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিকেল পাঁচটা থেকে সভাঘরে অপেক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেও ডাক্তাররা অনড় থাকায় সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু আশা করি, মানুষ বুঝেছেন, ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়।’

    সরাসরি সম্প্রচার করার বিষয়টি নিয়ে মমতা বলেন, ‘সরাসরি সম্প্রচারে আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু এই মামলা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে চলছে, তাই আমরা এমন কিছু করতে চাইনি, যাতে অচলাবস্থা চলতে পারে। চিঠিতে আমরা লিখেছিলাম, সরাসরি সম্প্রচার করতে পারব না।’

    সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের আগেই জানিয়েছিল ১০ অগস্ট বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। তবে, কর্মবিরতি না তুলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরেও দু’পক্ষের বৈঠক এদিন হয়নি। আগামী দিনে জনসাধারণের চিকিৎসা পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, সে কারণে এদিনও সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জুনিয়র ডাক্তাররা নবান্ন সভাঘরের সামনে এলেও কেন বৈঠকে এলেন না? সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বাইরে থেকে নির্দেশ আসছিল। দু’তিনজন রাজি হয়নি।’ মমতার সংযোজন, ‘আশা করেছিলাম, ছোটরা এসে কথা বলবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সময় পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার যা করবে, তাতে বাধা দেব না, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আমি এটাকে ঔদ্ধত্য হিসাবে দেখছি না।’
  • Link to this news (এই সময়)