• টোলগেটে হামলার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার ৪
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সোমবার রাতে মহম্মদবাজারের টোলগেটে সরকারি কর্মীকে মারধরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ শুরু করেছে পুলিস। মারধরে অভিযুক্ত চারজনকে মহম্মদবাজার থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। এখনও বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ইস্যুতে বিজেপিও সুর চড়াতে শুরু করেছে।

    সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী মুক্তাব হুসেন বলেন, সিউড়ির চার যুবককে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগ মিলেছে। বিচারক ২১ সেপ্টেম্বর অবধি তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মহম্মদবাজারের টোলগেটে এমভিআই বাবলু টুডুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর মাথায় ছ’টি সেলাই পড়ে। এরপর আরটিও মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস তদন্তে নেমে টোলগেটের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ওইদিন রাতে যাদের সেখানে দেখা গিয়েছিল, তাদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর সিভিক ভলান্টিয়ারদের সাহায্যে গ্রামে গ্রামে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে সিউড়ি থানা এলাকা থেকে বুধবার রাতে পুলিস চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত থাকলেও এখনও তাদের সন্ধান মেলেনি। পুলিস তাদের খোঁজ চালাচ্ছে। 

    জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার দিনের সিসি ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। এছাড়া, জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ওইদিন কারা কারা মারধরের ঘটনায় যুক্ত ছিল-তার খোঁজ চলছে। আপাতত চারজনকে সিউড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধরপাকড় চলছে। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, আরটিও দপ্তর থেকে অভিযোগ জমা পড়েছে। কোনও অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। দোষীরা শাস্তি পাবে।

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিও সুর চড়াতে শুরু করেছে। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, সেদিনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের পুলিস আড়াল করার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, এফআইআরে ট্রাক মালিক সংগঠনের নেতা আনাস আহমদের নাম আছে। কিন্তু পুলিস তাকে ধরছে না। কারণ আনাস তৃণমূলের টাকার জোগানদার। টোলগেটে বিশেষ কয়েকটি গাড়ি ছাড় দেওয়ার মূলেও এই আনাস। তাই পুলিস আগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। ঘটনার দিন সিসি ফুটেজের যে ছবি ভাইরাল হয়েছিল, তাতে আনাসের ছবি দেখা গিয়েছে। ‘বর্তমান’ সেই ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি। তবে আনাস আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, তিনি সেই ঘটনার পর থেকে এলাকার বাইরে রয়েছেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)