বেড়াতে এসে খোয়াইয়ের হাটে পুজোর শপিং, চওড়া হাসি শিল্পীদের
বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বোলপুর: দুর্গাপুজোর আগে শান্তিনিকেতনের খোয়াইয়ের হাটে পর্যটকের ব্যাপক ভিড়। বেড়ানোর পাশাপাশি চলছে কেনাকাটিও, এ যেন একইসঙ্গে ‘রথ দেখা ও কলা বেচা’। পুজোর মুখে বেচাকেনা ভালো হওয়ায় মুখে চওড়া হাসি হাটে পসরা নিয়ে বসা বিক্রেতা ও শিল্পীদের। শান্তিনিকেতন কবিগুরুর কর্মভূমি বলে পরিচিত। বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করেই এই বিশাল পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, শিল্প সংস্কৃতির জন্য প্রায় সারা বছরই পর্যটকের ভিড় দেখা যায়। তবে করোনা আবহের পর থেকে শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসের দরজা ভ্রমণার্থীদের জন্য কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট। বল্লভপুর অভয়ারণ্য, সোনাঝুরি জঙ্গল ঘেরা খোয়াইয়ের লালমাটি, ময়ূরাক্ষীর সেচ ক্যানাল এককথায় মনোহর পরিবেশ। সেই পরিবেশেই মাটিতে বসে স্থানীয় হস্তশিল্পীরা শুরু করেন শনিবারের হাট। সেই হাট বর্তমানে মহীরুহে পরিণত হয়েছে। আগে সপ্তাহে একদিন বসলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতিদিনই হাটে বসা শুরু করেন শিল্পীরা। কিন্তু পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বনদপ্তর তা চারদিন করার নির্দেশ দেয়। তবে, সামনেই দুর্গাপুজো। তাই চারদিনের পরিবর্তে আপাতত ছ’ দিন হাটে বসতে চেয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে আর্জি জানান শিল্পীরা। তা কার্যকর হতেই শিল্পীরা ফের পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেছেন। হাটের ব্যবসায়ী উমা সিং, সুস্মিতা মণ্ডল বলেন, সারা বছর হাট বসলেও আমরা দুর্গাপুজোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি।