• পুজোয় চাহিদা বাড়ছে মগরমুখ ও মোটা মানতাসা ডিজাইনের শাঁখার
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: এবার দুর্গাপুজোয় মগরমুখ, মোটা মানতাসা ডিজাইনের শাঁখার চাহিদা ব্যাপক। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন বিবাহিত মহিলাদের নতুন শাঁখা পরার চল রয়েছে। অনেকেই তাই পুজোর আগে একজোড়া করে নতুন শাঁখা নেন। সেই কারণে শেষ ৩ মাস ধরে শাঁখা বানানো শিল্পীরা দিনরাত জেগে কাজ করে চলেছেন। বিভিন্ন শাঁখার দোকানে এসে গৃহবধূরা খোঁজ নিচ্ছেন, মগরমুখ ডিজাইনের শাঁখার। এবার পুজোতে ভালো ব্যবসার আশায় তাকিয়ে রয়েছেন শাঁখারি ব্যবসায়ীরা।

    জানা গিয়েছে, এমনিতে সারাবছরই শাঁখা, পলার বিক্রি থাকলেও পুজোর আগের এক মাস বিক্রি বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুজোতে মা উমার পায়ে ঠেকিয়ে অনেক গৃহবধূই নতুন শাঁখা পরেন। অনেকেই সবদিন শাঁখা না পরলেও বিশেষ করে অষ্টমীর দিন তাঁরা তা পরে মায়ের কাছে পুজো দিতে যান। সেই কারণে পুজোর বাজারে শাঁখার চাহিদা থাকে অনেকটায় বেশি। শাঁখারিরাও এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। পুজোর মরশুমে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের করা শাঁখা পরার চল। কেউ পদ্মফুলের কারুকার্য চাইছেন তো কেউ আবার ছোট, মাঝারি মান্তাসা খুঁজছেন। তুলনামূলক কম দামের মধ্যে মগরমুখ ডিজাইনের চাহিদাই বেশি। অর্থাৎ শাঁখার মধ্যে থাকে হাতির মুখের ছবি। ৫০০ টাকা জোড়া থেকে ১২০০ টাকা জোড়া সব ধরনের ডিজাইনের শাঁখাই তৈরি করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার দেবীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাতেও ভালো লাভ আসবে, এই আশাতেই রয়েছেন প্রত্যেকে। জানা গিয়েছে, পুজোর আগের এই মাসে পছন্দের রকমারি সব অর্ডার অনলাইনেও করছেন গৃহবধূরা। 

    সেহারাপাড়ার একটি শাঁখার দোকানের কর্ণধার কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ বলেন, আমার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের জিৎপুরে ৬ জন শিল্পী সারাবছর ধরে শাঁখা বানানোর কাজ করেন। গত এপ্রিল মাস থেকে পুজোর অর্ডারের কাজ তাঁরা শুরু করে দিয়েছিলেন। সরু, মোটা নানা ধরনের শাঁখা বানানো হয়েছে। স্পেশাল কিছু ডিজাইনও রয়েছে। যেগুলি অনেকটায় অন্যরকম। কিছুজন আগে থেকে ছবি দেখিয়ে ডিজাইন অর্ডার করে গেছেন গৃহবধূরা। তাঁদের অর্ডার অনুযায়ী শাঁখা বানিয়ে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি এখন আগ্রহ দেখছি সিটি গোল্ডের ডিজাইন সমেত শাঁখা পরার। সোনার মতোই দেখতে লাগা এই শাঁখা ১ হাজার টাকার মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছেন। দাম কমের কারণে অনেকেই এটিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই ক’টা দিনই আমাদের কাছে ব্যবসা করার মূল সময়। তাই ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বেঁধেছেন।  
  • Link to this news (বর্তমান)