• সবংয়ে বাঁশের কারুকার্যে চমক দেবে তেমাথানি পল্লিশ্রী সর্বজনীন
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: সবংয়ের তেমাথানি পল্লিশ্রী সর্বজনীন দুর্গাপুজোয় এবার দেবীকে নতুন সাজে দেখা যাবে। এই পুজোর থিম এবার ‘কারুশিল্প বাংলা বাঁশে, দেবীর বোধন নব সাজে’। পুজোর এবার ৩১তম বর্ষ।

    ১৯৯৩ সালে দিলীপ পাণ্ডা, শঙ্কর হাজরা সহ এলাকার কিছু উৎসাহী মানুষ এই পুজো শুরু করেন। সবং ছাড়িয়ে এই পুজো এখন জেলা তথা রাজ্যেও প্রচার পেয়েছে। এই পুজো আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও নজর কাড়ে।পুজো কমিটির সভাপতি পদে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আবুকালাম বক্স ও সম্পাদক হিসেবে রাজীব দত্ত রয়েছেন। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এই পুজোর উদ্বোধন করবেন। বাজেট ধরা হয়েছে ২৮ লক্ষ টাকা।রাজীববাবু বলেন, মণ্ডপে বাঁশের নানারকম কারুশিল্প ফুটে উঠবে। বাংলার এই শিল্পকে তুলে ধরা হবে। সেই মণ্ডপে সাধারণ মেয়ের রূপে অধিষ্ঠিত হবেন মা দুর্গা। এক অভিনব থিমকে এবার আমরা ফুটিয়ে তুলতে চাইছি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থেকে আসা শিল্পীরা মণ্ডপ তৈরি করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিশিষ্ট মৃৎশিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় দেবীপ্রতিমা তৈরি হচ্ছে। পুজোর চারদিন এলাকার বাসিন্দারা যাতে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে পারেন, সেজন্য নানা ব্যবস্থা থাকছে।

    আবুকালাম বক্স বলেন, এই পুজোয় সবং ছাড়াও আশপাশের এলাকার বহু মানুষের আগ্রহ আছে। নানা এলাকার মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন। চারদিনই ভিড় উপচে পড়ে। আগে সাধারণভাবেই পুজো হতো। গত আট-দশ বছর ধরে থিমের মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে। প্রতি বছরই পুজোয় নিত্যনতুন থিম থাকে। কয়েকবছর ধরে আমাদের পুজো নানা পুরস্কার পেয়েছে। গত বছর ও তার আগের বছর বিশ্ব বাংলার প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। নানা সংস্থার পুরস্কার তো আছেই। পুজো ছাড়াও কমিটির তরফে স্বাধীনতা দিবসে বস্ত্র বিতরণ, বছরে দু’বার রক্তদান, মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া, এই পুজো কমিটি কিছু দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার খরচও বহন করে।
  • Link to this news (বর্তমান)