• পুজোর আগে দ্বারিকায় চালু টাটাদের কোম্পানি স্মৃতি খুঁড়ে কাজে যোগ পুরনো কর্মীদের
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুরের দ্বারিকায় অবশেষে টাটাদের কারখানা চালু হল। বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে ৫৫০জন কর্মী নিয়ে কারখানার একটি ইউনিট চালু হয়। এদিন তার উদ্বোধন করেন কোম্পানির মেটিরিয়াল শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিবি সুন্দরারমন। কারখানায় সিংহভাগ কর্মীই স্থানীয় বাসিন্দা। অধিকাংশ কর্মীই বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার পুরনো কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ এক দশক পর নতুন করে এই স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় তাঁরা খুশি। 

    বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় দ্বারিকা নতুন করে জেগে উঠেছে। কিছুদিন আগেই একটি কারখানা চালু হয়েছে। এদিন টাটারাও তাদের কারখানা চালু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এক হাজার স্থানীয় মানুষ সেখানে কাজ পেয়েছেন। আগামী দিনে আরও কয়েকটি কারখানা চালু হবে। সব মিলিয়ে বিষ্ণুপুরের শিল্পাঞ্চলকে কেন্দ্র করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এলাকার উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। কারখানার কর্মী দ্বারিকার বাসিন্দা বাপন খান বলেন, পুরনো কারখানায় কাজ করতাম। তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছিলাম। পরে সংসার চালানোর জন্য যখন যা পেয়েছি কাজ করেছি। নতুন করে টাটারা ওই কারখানা কেনার পর থেকে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। পুরনো কর্মীদের নেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে আমাদের কাজে নেওয়া হয়েছে। এদিন কারখানার একটি ইউনিট চালু হয়েছে। আমরা সেখানেই কাজ করছি। ভীষণ খুশি। 

    প্রসঙ্গত, একসময় দ্বারিকায় পাঁচটি বড় মাপের ও তিন-চারটি মাঝারি কারখানা চালু হয়েছিল। মেশিনের ঘড়ঘড় আওয়াজে এলাকা গমগম করত। আলোয় ঝলমল করত গোটা এলাকা। বিভিন্ন শিফটে কাজের দরুন কর্মীদের যাতায়াতে দিন ও রাতের ফারাকটাই মুছে গিয়েছিল। তাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বাজারহাটও জমে উঠেছিল। 

    কিন্তু পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতের মালিকরা একে একে কারখানার ঝাঁপ ফেলে চলে যান। কর্মীরাও বেকার হয়ে পড়েন। সংসার চালানোর জন্য তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিকল্প পেশায় নিযুক্ত হয়েছিলেন। একরাশ হতাশা নিয়েও নতুন করে কারখানা চালুর আশায় দিন গুনছিলেন অনেকে। ১০বছর পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় টাটার মতো সংস্থা দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলে কারখানা করতে এগিয়ে আসায় তাঁরা পুনরায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, ওড়িশার একটি কোম্পানিও কয়েকদিন আগে কারখানা চালু করে দিয়েছে। সেখানে পুরনো কর্মীদের অনেকেই কাজ করছেন। টাটাদেরও কারখানার একটি ইউনিট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। সেখানেও পুরানো কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁরা ভীষণ খুশি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)