• চাষিদের লোকসান রুখতে জেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরিতে জোর
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জেলায় প্রায় দেড়শো হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। অথচ একটিও পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র নেই। ফলে চাষিরা পেঁয়াজ চাষ করলেও মজুত করতে না পেরে বেশিরভাগ সময় কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। এতে অনেক ক্ষেত্রে বড়সড় লোকসানের মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। তাঁদের এই ক্ষতি রুখতে এবার জলপাইগুড়ি জেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে দিচ্ছে উদ্যানপালন দপ্তর। ঠিক হয়েছে, চলতি বছর পাঁচটি পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এরপর চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো হবে এর সংখ্যা। ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী কিংবা কৃষক প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরির জন্য আবেদন করতে পারবে। খরচের অর্ধেক দেবেন উদ্যোক্তা। বাকি অর্ধেক টাকা মিলবে সরকারি অনুদানে। 

    জেলার সহকারী উদ্যানপালন অধিকর্তা খুরশিদ আলম বলেন, মূলত বাঁশের কাঠামোর উপর শেড নেট দিয়ে ওই সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ ভালো থাকবে। ফলে বাজার বুঝে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন। লোকসানের মুখে পড়তে হবে না। 

    উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে খবর, দু’টি চেম্বার বিশিষ্ট ১৮০০ ঘন ফুটের পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়তে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ। এতে প্রায় ২৫ টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। মাটি থেকে আড়াই ফুট উঁচু কংক্রিটের পিলারের উপর তৈরি করা হচ্ছে বাঁশের কাঠামো। উপরে অ্যাসবেসটস। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং ৬৫-৭০ শতাংশ আর্দ্রতা প্রয়োজন। তাপমাত্রা বেশি হলে কাঠামোটি শেড নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া যেতে পারে। 

    জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাশাপাশি ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি ও ক্রান্তি ব্লকে প্রচুর জমিতে রবি মরশুমে পেঁয়াজ চাষ হয়। এবছর থেকে শীতকালীন পেঁয়াজ চাষের এলাকা আরও বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যানপালন আধিকারিকরা। সহকারি উদ্যানপালন অধিকর্তা বলেন, জলপাইগুড়িতে আমরা বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের কথাও ভাবছি। তবে একটাই সমস্যা, বৃষ্টির সময়টা ঠিক থাকে না। সেকারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, একটু দেরি করে অর্থাৎ খরিফের শেষের দিকে বর্ষার পেঁয়াজ চাষ শুরুর করার।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)