সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক থাকায় রেশনে খাদ্যসামগ্রীর কারচুপি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা গিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নাগরিকদের পরিষেবা অত্যন্ত ভালোভাবে দেওয়া যাচ্ছে। তার পরেও রেশনে বণ্টন করা খাদ্যসামগ্রী নিয়ে কোনও গ্রাহকের অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর জন্য মোবাইল নম্বরও চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুয়ারে রেশনের কাজ পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী এবং সদর মহকুমা খাদ্য নিয়ামক শুভাশিস বায়েন।
খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য দুয়ারে রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার। বছর দুয়েক আগে চালু করা এই কর্মসূচি কেমন চলছে, খতিয়ে দেখতে এর আগেও জেলা প্রশাসন ও খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিপাড়ায় দুয়ারে রেশন কর্মসূচিতে অভিযানে নামেন। সেখানে গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রীর গুণগতমান ঠিক আছে কি না, সেই সম্পর্কেও খোঁজখবর করেন।
এসডিও বলেন, রাজ্য সরকারের যে সমস্ত জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে, সেগুলি তৃণমূলস্তরে কীভাবে রূপায়িত হচ্ছে, তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা দেখতেই এদিনের অভিযান। এই অভিযান সদর মহকুমার সমস্ত জায়গায় চালানো হচ্ছে। এখানে এসে তেমন কিছু খামতি নজরে আসেনি। বাড়ির সামনে রেশন সামগ্রী পাওয়ায় এখানকার মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। আধার লিঙ্ক করার কারণে রেশনের কারচুপি অনেক কমেছে। তবে তারপরেও কোনও সমস্যা সামনে এলে বা অভিযোগ পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর মহকুমা খাদ্য নিয়ামক শুভাশিস বায়েন বলেন, সঠিক মানের খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তারপরেও পোকাযুক্ত বা নিম্নমানের খাদ্যশস্য সরবরাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ জানাতে মোবাইল নম্বর চালু করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকরা নিজেরা দপ্তরে গিয়েও অভিযোগ জানাতে পারবেন। নিজস্ব চিত্র।