• দুপুরের পর আর প্রতিবাদ মঞ্চে দেখাই মিলছে না ডাক্তারদের, শক্তি হারাচ্ছে আন্দোলন?
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: সকাল থেকে চালু হচ্ছে ‘তিলোত্তমা ক্লিনিক’। কল্যাণী মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসকদের তৈরি প্রতিবাদ মঞ্চেই রোগী দেখছেন ডাক্তাররা। আর দুপুর গড়ালেই সেই প্রতিবাদ মঞ্চ কার্যত রোগীর পরিজনদের বিশ্রামের জায়গা হয়ে উঠছে। সন্ধ্যা বা রাতে সেখানে চট পেতে বা চেয়ারে বসে ঘুমোচ্ছেন বা ঝিমোচ্ছেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা। সেখানে টাঙানো ফ্লেক্সে ইংরেজিতে বড় বড় করে লেখা, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। সকালের দিকে প্রতিবাদ মঞ্চে আন্দোলনকারীদের দেখা গেলেও দুপুরের পর তাঁদের কারও দেখা মিলছে না। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এক মাসের মধ্যেই শক্তি হারাচ্ছে এখানকার চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন? 

    আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ৯ অগাস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ ও কর্মবিরতিতে শামিল হন কল্যাণীর এই মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের মধ্যেই গত ৪ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে চিকিৎসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে কলেজেরই প্রসূতি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মণিদীপ পালকে সেখানে নিযুক্ত করে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে বলছেন, অধ্যক্ষ পদে রদবদলের পরেই শক্তি হারিয়েছে এখানকার চিকিৎসক-পড়ুয়াদের আন্দোলন। চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, আন্দোলন প্রথমে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে শুরু হলেও পরবর্তীতে হাসপাতালের নিরাপত্তা, বিশ্রামাগার, শৌচাগার তৈরি সহ একাধিক প্রসঙ্গ যুক্ত হয়। তাতে কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশের প্রশ্রয় থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে অধ্যক্ষ পদে পরিবর্তন হতেই আন্দোলনের গতি কিছুটা হলেও কমেছে। তবে আন্দোলনরত চিকিৎসক-পড়ুয়ারা বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবিতে অনড় রয়েছি। আন্দোলন চলছে। রোগীদের কথা ভেবে আমরা জরুরি বিভাগ ও ক্লিনিকে পরিষেবা দিচ্ছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)