• পূর্তদপ্তর ৫ বছরে একটা শৌচাগার বানাতে পারে না, তারা করবে মেগা প্রকল্পের কাজ!
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্ষা এলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে হাওড়ার বালি-জগাছা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। এ নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের তরফে ওই রিপোর্ট জমা পড়লে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।   

    বালি-জগাছা ব্লকের ওই এলাকা জলমুক্ত করতে বিস্তৃত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয় রিপোর্টে। বলা হয়, এই কাজ করতে অন্তত তিন বছর সময় লাগবে। পূর্তদপ্তর ওই কাজ করবে। যা দেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই রিপোর্টে যা বলা হয়েছে, তাতে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় কোনও কিছুই হবে না। হাইকোর্ট বিল্ডিংয়ের একতলায় মহিলাদের জন্য একটি শৌচাগার তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পাঁচ বছর কেটে গেলেও কোনও কিছুই হয়নি। পূর্তদপ্তর এই ছোট কাজটুকু করে উঠতে পারল না, ফলে তারা এই কাজ করে উঠতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।’ একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শুধু কলকাতা হাইকোর্টেই নয়, শিলিগুড়িতেও একই অবস্থা। এই রিপোর্ট অবিবেচকের মতো অজুহাত ছাড়া কিছুই নয়।’ 

    এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এক্ষেত্রে জেলাশাসক একটি খসড়া প্রকল্পের খতিয়ান তৈরি করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। ফাইল প্রশাসনের কাছে যাবে। তারপর প্রকল্পের ছাড়পত্রের জন্য ক্যাবিনেটের অনুমতি প্রয়োজন পড়বে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে কোনও কাজই হবে না।’ 

    এরপরই এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীর কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কীভাবে এই প্রকল্প রূপায়িত হবে, সেটা বলুন?’ এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় চান রাজ্যের আইনজীবী। তখন মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, প্রতি বছর একই ঘটনা ঘটছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা জল ভেঙে স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, গোটা এলাকা জলমুক্ত করতে একটি মেগা প্রকল্প নিতে হবে। ৬ কোটি টাকা প্রয়োজন। বড় ড্রেন তৈরি করা প্রয়োজন। যেকারণে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

    রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ফের জেলাশাসককে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রাজ্যের কোন দপ্তর এই টাকা মঞ্জুর করবে ও কীভাবে প্রকল্পের কাজ করা যাবে, তা উল্লেখ করতে হবে রিপোর্টে। পূজাবকাশের পর ফের মামলার শুনানি। 
  • Link to this news (বর্তমান)