• তাঁত মেলায় হ্যান্ডলুম বেনারসি, মসলিন, কটন শাড়ির সম্ভার, দেখা নেই ক্রেতাদের
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, বারুইপুর: দোকানে দোকানে ঝুলছে হ্যান্ডলুম শাড়ি। কোথাও আবার মসলিন, হ্যান্ডলুম বেনারসি সাজানো। রয়েছে তাঁতের রকমারি শাড়ির বাহার। কিন্তু ক্রেতাদের দেখা নেই। সরকারি উদ্যোগে বারুইপুরে ৬ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তাঁতের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর আগে সাধারণ মানুষ যাতে তাঁতিদের হাতের তৈরি শাড়ি ও অন্যান্য পোশাক কেনাকাটা করতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই এখানে এই মেলা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচদিন কেটে গেলেও বিক্রিবাটা নিয়ে চরম হতাশ বিক্রেতারা।

    কেন এমন পরিস্থিতি, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রায় এক সুরে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যেভাবে প্রতিবাদ চলছে রাজ্যজুড়ে, তার একটা প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর পড়েছে। আর সে কারণেই এই মেলায় সেভাবে ক্রেতাদের ভিড় দেখাই যায়নি।

    এই মেলায় মোট ৫৬টি স্টল রয়েছে। নবদ্বীপ, কালনা, হুগলি ইত্যাদি যেসব জায়গার শাড়ি বা বস্ত্র বিখ্যাত, তাদের পসরা সাজানো হয়েছে স্টলগুলিতে। এই মেলায় গিয়ে দেখা গেল, বেশিরভাগ দোকানেই বিক্রেতারা চুপচাপ বসে রয়েছেন। কেউ মোবাইল দেখছেন, কেউ আবার হেলান দিয়ে নিদ্রা গিয়েছেন। কয়েকটি স্টল ত্রিপল দিয়ে বন্ধ করে ভিতরে ঘুমোচ্ছেন বিক্রেতারা। হুগলির মহাদেব বসাক ও মধূসুদন দাস কিংবা নবদ্বীপের রাজকুমার চক্রবর্তীরা জানান, একেবারেই কেনাবেচা নেই। বসে বসে ঘুম পেয়ে যাচ্ছে। কালনার বিশ্বজিৎ বসাক বলছেন, এত শাড়ি টেনে নিয়ে আসাই সার। ক্রেতাদের ভিড় নেই। আর জি করের বিচার চাইতে এখন সবাই আন্দোলন করছেন। উৎসবে শামিল হবে কি না, মানুষ হয়তো ঠিক করতে পারছে না। এসবের মধ্যে আমাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে।

    যদিও বিক্রেতাদের সঙ্গে একমত নন উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, যেহেতু এবার প্রথম এখানে এমন মেলা হচ্ছে, তাই অনেকেই হয়তো এ ব্যাপারটা জানতে পারেননি। তাছাড়া নতুন মেলার জনপ্রিয়তা পেতে এক-দু’বছর তো লেগেই যায়।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)