দেহ উদ্ধারের দিন ফোন করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ, কোন কোন পদে ছিলেন MLA সুদীপ্ত রায়?
আজ তক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Sudipto Roy MLA: আরজি করের দুর্নীতি-তদন্তে বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়ের বাসভবন এবং নার্সিংহোমে অভিযান চালাল সিবিআই।
দুপুর ১টা নাগাদ উত্তর কলকাতায় সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোমে পৌঁছে যায় CBI-এর বিশেষ টিম। উল্লেখ্য, সুদীপ্ত রায় আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন।
সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাসভবনে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সুদীপ্ত রায় রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ডের সদস্য। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি। বর্তমানে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বিধায়ক তিনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের দাবি, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডক্টর সন্দীপ ঘোষ হাসপাতালের সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের দেহ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যাঁদের ফোন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে সুদীপ্ত রায় একজন। সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে ফোন করা হয়েছিল।
সিবিআই সন্দীপ ঘোষের কল রেকর্ড থেকে সুদীপ্ত রায়ের কনট্যাক্ট ডিটেইলস সংগ্রহ করেছে। এর থেকেই সুদীপ্ত রায়ের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলে। পরে, সুদীপ্ত রায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তদন্তে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এদিকে, রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা, শুভেন্দু অধিকারী, সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তুলে দেন। সরাসরি শুভেন্দুর দাবি, 'সুদীপ্ত রায় তাঁর নার্সিং হোমের জন্য আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামের অপব্যবহার করেন।'
শুভেন্দু অধিকারীর দাবির পাল্টা জবাব দেন সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি বামফ্রন্ট আমলে ১৯৮৪ সালে এই নার্সিং হোমটি তৈরি করেছিলাম। আমি এই ধরনের কাজ করেছি কিনা তা যাচাই করার জন্য যে কেউ আমার নার্সিংহোমে আসতে পারেন, স্বাগত জানাই।'