‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর (আইএমএ) সদস্য তালিকায় ‘ভুয়ো’ নাম রয়েছে বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের। তাঁদের অভিযোগ, আইএমএ-র জলপাইগুড়ি শাখার দু’টি সদস্য তালিকা আছে, যা আইনত সম্ভব নয়। এই সদস্য তালিকায় এমন চিকিৎসকেরাও আছেন, যাঁদের নাম আইএমএ-র অন্য জেলার সদস্য তালিকাতেও রয়েছে। এই ভুয়ো নামের নেপথ্যেও ‘উত্তরবঙ্গ লবি’ রয়েছে বলে দাবি। ওই লবির ‘কর্তা’ বলে পরিচিত জলপাইগুড়ির চোখের চিকিৎসক সুশান্ত রায়, তাঁর পুত্র সৌত্রিক রায় এবং অভীক দে-কে আইএমএ-র জলপাইগুড়ি শাখার প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাবের পরে, চিকিৎসকদের একাংশ সংগঠনের জেলা শাখার সদস্য তালিকায় ভুয়ো নাম বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। সুশান্ত রায়ের ঘনিষ্ঠদের অবশ্য দাবি, ভুয়ো নামের বিষয়টিই ভিত্তিহীন। গত বুধবার আইএমএ-র যে সভায় বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেই সভার ‘কোরাম’ হয়নি। তাই আইনি প্যাঁচে পড়ার আশঙ্কায় সদস্য পদে ভুয়ো নাম রয়েছে বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সদস্য ছাঁটতে চাইছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সুশান্ত নিজে অবশ্য এ দিন ফোন তোলেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
গত বুধবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, ছেলে সৌত্রিক-সহ সুশান্ত রায় এবং অভীক দে-কে সংগঠনের জলপাইগুড়ি শাখার প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সাসপেন্ড এবং নির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ পাঠানো হল সংগঠনের কেন্দ্রীয় শাখায়। বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আইএমএ-র জলপাইগুড়ি শাখার কয়েক জন সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শাখার পদাধিকারীদের কথাও হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় শাখাকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে খবর। আইএমএ-র প্রাক্তন সম্পাদক পান্থ দাশগুপ্ত বলেন, “বৃহস্পতিবার আমরা কেন্দ্রীয় শাখার কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশ্বাসও পেয়েছি। জলপাইগুড়ি শাখার সদস্যের দুটি তালিকা বাজারে ঘুরছে, এমনটা হয় না। আইএমএ-এর অন্যান্য জেলার সদস্যদের জলপাইগুড়ি শাখার সদস্য হিসেবেও দেখানো হয়েছে। যাঁদের সঙ্গে জলপাইগুড়ির কোনও যোগ নেই, তাঁরাও সদস্য তালিকায় রয়েছেন। এ সব নামও এ বার বাদ দেওয়া হবে।”