• Sitaram Yechury Death : উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ সুবিধার কথা লোকসভায় প্রথম বলেছেন
    আনন্দবাজার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো কেন্দ্রের থেকে যে বিশেষ সুবিধা পায়, উত্তরবঙ্গকেও সে সুবিধার মধ্যে আনার কথা তিনিই সবার আগে লোকসভায় বলেছিলেন। এখানকার চায়ের বিষয়ে খোঁজ রাখতেন। বিশেষ করে বাইরে থেকে চা আমদানি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেছিলেন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে সব চেয়ে পরিচিত মানুষ সীতারাম ইয়েচুরি।

    সীতারাম অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ। তাঁর পড়াশোনা, বিভিন্ন ভাষা জানা থেকে শুরু করে, যোগাযোগের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। ছাত্রজীবন থেকে অর্থাৎ, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকে তিনি ছাত্র সংসদের সম্পাদক ছিলেন। দলের যুব সংগঠন করার সময় দিল্লির অশোকা রোডে সংগঠনের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। তখন এক জন সাংসদের কোয়ার্টারে সেই কার্যালয়। সেখানে আন্তর্জাতিক বিষয়ের দায়িত্বে কাজ করতে দেখেছি সীতারাম ইয়েচুরিকে। বয়সে আমার থেকে তিনি কয়েক বছরের ছোট। কিন্তু অল্প বয়সে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন। চিনে আমি বার কয়েক গিয়েছি। সেখানে আমাদের দেশের বাম-নেতা হিসেবে তারা সীতারাম ইয়েচুরিকেই চেনে দেখেছি।

    জ্যোতি বসু সীতারামকে ভাল বাসতেন। আবার পার্টিতে কোনও কিছুর সঙ্কট হলে সীতারাম বলতেন, ‘‘জ্যোতি বসু কী বলেছেন, সেটা দেখ।’’ জ্যোতি বসুর ‘গো টু দ্য মাস’ কথাটা তুলে ধরতেন। আমাদের রাজ্য কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। তাই সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠকে দেখা হত। ওঁর ছেলে করোনাতে মারা যাওয়ায় মানসিক ভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত ছিলেন।

    লোকসভার পর্যটন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান থাকার সময় গ্যাংটকে এসেছিলেন, তখন দেখা হয়েছিল। দার্জিলিঙের সমস্যার ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতেন। রাজ্য থেকে একাধিক বার রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। রাজ্যের শিল্পায়ন নিয়ে সচেষ্ট ছিলেন।

    এ রাজ্যে আমাদের দলের নেতাদের নামে চিনতেন। আমার স্ত্রী বিয়োগের সময়ে ফোন করে খোঁজও নিয়েছিলেন। খেলার বিষয়ে খুব আগ্রহী ছিলেন। এক বার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গেও ওঁর আলাপ ছিল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)