বাঁকুড়া পুরসভায় বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ। অভিযুক্ত পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পিঙ্কি চক্রবর্তীর স্বামী পীযুষ চক্রবর্তী। প্রতিবাদে কর্মবিরতির পথে পুরসভার বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। অস্বস্তিতে পড়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পুর কর্তাদের।পুরসভায় ‘দাদাগিরি’র অভিযোগও উঠেছে পিঙ্কি চক্রবর্তীর স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর কথামতো কাজ না হওয়ায় পুরসভায় বিদ্যুৎ দপ্তরে ঢুকে হেনস্থা করা হয় কর্মীদের। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হেনস্থা ও দাদাগিরির অভিযোগে ও তার প্রতিবাদে বাঁকুড়া পুরভার বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা আজ, শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
পীযুষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠেছে। ফের পুর কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডের কর্মরত বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। দলেরই কাউন্সিলরের স্বামীর এহেন আচরণে অস্বস্তিতে পড়ে ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন পুরসভার বিদ্যুৎ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলার অভিজিৎ দত্ত। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে পুরসভার বিদ্যুৎ কর্মীদের কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন বাঁকুড়ার উপ পুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ। তিনি বলেন, ‘এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়। পুর কর্মীদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। যা অভিযোগ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেটা দেখা হবে।’
ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে বিরোধী নেতৃত্ব। বিজেপির বাঁকুড়া জেলার সহ-সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। শুধু বাঁকুড়া জেলা নয়, গোটা রাজ্যে শাসক দলের দাদাগিরি চলছে। সরকারি কর্মীদের মারধরের ঘটনা কোনওভাবেই কাম্য নয়।’
অভিযুক্ত পীযুষ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় আলোর সমস্যা রয়েছে। আগেও পুরসভাকে জানিয়েছি। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁরা কাজ করেননি। আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুরসভায় গিয়েছিলাম।’ পুর কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।