এই সময়, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে তিনি যে পদত্যাগ করতে চান, তা গত রবিবারই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা জহর সরকার। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়ের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন তিনি।আরজি করের ঘটনায় রাজ্য সরকার প্রথমেই উপযুক্ত প্রশাসনিক পদক্ষেপ করলে পরিস্থিতি এই রকম হতো না বলেও ফের মন্তব্য করেন প্রবীণ এই প্রাক্তন আমলা। ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জহর বলেন, ‘পোস্টিং আর ট্রান্সফারের মধ্যে দিয়েই বড় হয়েছি। তাই মায়া বাড়াই না।’
আরজি করের ঘটনা প্রেক্ষিত নিয়ে প্রশাসনের কিছু অংশ মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলে গত রবিবারই মন্তব্য করেছিলেন জহর। এ দিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমেই দুষ্টু লোকদের শাস্তি দিলে আন্দোলন এই জায়গায় যেত না।’ তাঁর সংযোজন, ‘প্রিন্সিপালকে (আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ) সাসপেন্ড না করে আবার নিয়োগ করলে যা ফল হয়, তাই হলো।’
কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েলেরও অনেক আগেই ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ কমানো উচিত ছিল। সে সব না-হওয়ায় আগামীতে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে বলেই তাঁর মত। খানিকটা অভিমানের সুরে এ দিন জহর জানান, এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
এমনকী সৌজন্যমূলক কথাবার্তাও নয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলানোর অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আছে। প্রচুর দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ রাজ্যের শাসকদলে ঢুকে পড়েছে। আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরকারও সঠিক পদক্ষেপ করতে পারেনি।