এবার সঞ্জয়ের নারকো টেস্ট করাতে চায় CBI, কীভাবে পেটের কথা বের হবে?
আজ তক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তে এবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারে সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিবিআই। এ ব্যাপারে অনুমতির জন্য শিয়ালদা আদালতের কাছে আর্জি জানান তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই পলিগ্রাফ পরীক্ষা হয়েছে ধৃতের। কিন্তু, সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিলেন না শিয়ালদা কোর্টের বিচারক। ফলে হচ্ছে না সঞ্জয়ের নারকো পরীক্ষা।
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। যে ঘটনায় উত্তাল গোটা বাংলা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে প্রতিবাদ। তদন্তে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়েছে। প্রেসিডেন্সি জেলে হয় সেই টেস্ট। সিবিআই সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সঞ্জয়। এবার সত্যি-মিথ্যা জানতে নারকো পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সংশ্লিষ্ট টেস্টের ব্যাপারে শিয়ালদা আদালতের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়। তবে সেই অনুমতি মেলেনি।
এক সিবিআই কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল,'সঞ্জয় কতটা সত্যি বলছে সেটা নারকো টেস্ট করে জানতে চাইছি। নারকো বিশ্লেষণ করে আমরা সেটা যাচাই করতে পারব'।
কীভাবে নারকো টেস্ট হয়?
সোডিয়াম পেন্টোথাল নামে একটি ওষুধ ইঞ্জেকশন ভরে দেওয়া হয় অভিযুক্তের শরীরে। এর ফলে শরীর 'সম্মোহিত অবস্থা'য় চলে যায়। ফলে ব্যক্তি কল্পনাশক্তি হারায়। কল্পনাশক্তি হারালে মানুষ মিথ্যা বা বানিয়ে বানিয়ে কিছু বলতে পারে না। ফলে নারকো টেস্টে সহজেই বোঝা যায় সেই ব্যক্তি কতটা সত্যি বলছে। কতটা বিশ্বস্ত এই পরীক্ষা? সিবিআই কর্তা জানালেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পরীক্ষায় সত্যি কথাই বলে অভিযুক্ত।