সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদে শামিল ডাক্তার থেকে আমজনতা। মর্মান্তিক ঘটনায় এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁদের দাবি, এহেন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ তাঁদের কাছে একমাত্র আশার আলো হতে পারে। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাকেও।
কর্মক্ষেত্রে কতরকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, চিঠিতে সেই কথা তুলে ধরেছেন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে এই অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা আশার আলো দেখতে পাবেন। তাঁদের কথায়, ঘৃণ্য অপরাধ হওয়ার পরে সেটা ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা হয়েছে। এই অপরাধের সুবিচার হলে তবেই পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা পরিষেবা দিতে পারবেন।
আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে সবমহল। এদিকে সুবিচারের পাশাপাশি একাধিক দাবিতে সরব হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার মধ্যে রয়েছে কমিশনার বিনীত গোয়েল ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ ৩ স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদত্যাগ। এই দাবিতেই মঙ্গলবার দুপুর থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে রাস্তায় জুনিয়র চিকিৎসকরা। সরকারের তরফে দুবার মেল করে তাঁদের বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। পালটা মেলে তাঁরা নিজেদের দাবি জানান। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। আন্দোলনরত চিকিৎসকের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নবান্নে পৌঁছেও নানান শর্ত চাপিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হননি জুনিয়র চিকিৎসরা।
নবান্নর সামনে থেকে ফের অবস্থানমঞ্চে ফিরে আসেন তাঁরা। চলছে ধরনা। ঘড়ির কাঁটায় পেরিয়েছে ৬৭ ঘণ্টারও বেশি সময়। নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে এবার রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা চাইছেন তাঁরা। শুক্রবার সকালেই চিকিৎসক ফোরামের তরফে মেল পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যপালকেও মেল করা হয়েছে বলে খবর। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও কোনও উত্তর মেলেনি।