আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই কিছু পুজো কমিটি সরকারি অনুদান না-নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবারও একই কথা জানিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের একটি পুজো কমিটি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ধারণা, আগামীতে আরও কয়েকটি সর্বজনীন দুর্গাপুজোর আয়োজক কমিটি একই পথে হাঁটবে।পরিস্থিতি আঁচ করে ওই পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে বিজেপি নিজেদের সংগঠন ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নীতির অনুসরণে কয়েক বছর আগে পুজো কমিটিগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত বিজেপি নিয়েছিল।
তবে তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি। সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো ছাড়া শহরের অন্য কোনও পুজো কমিটিতে নিজেদের আধিপত্য তেমন কায়েম করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এমনকী, জেলাগুলোতেও বিজেপির ‘পুজো দখলের’ চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তবে এ বছর আরজি করের ঘটনার কারণে পরিস্থিতি অন্য রকম বলে বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের অভিমত। কারণ, বহু পুজো কমিটি নিজে থেকেই রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে।
বঙ্গ বিজেপির এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘এতদিন রাজ্য সরকারের রোষানলে পড়ার ভয়ে অনেক পুজো কমিটিকে ইচ্ছে না-থাকলেও সরকারি অনুদান নিতে হয়েছে। তবে এখন সেই ভয়টা কেটে গিয়েছে। তাই, যে পুজো কমিটিগুলো সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জেলা নেতৃত্বদের আমরা বলেছি।’
সূত্রের খবর, ওই পুজো কমিটিগুলো বিজেপির অনুদান নিতে না-চাইলেও তাদের প্রতিবাদকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কুর্নিশ জানাতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব।