‘আর কতদিন?’ তিলোত্তমার বিচার চেয়ে তারিখ বদলে যাচ্ছেন জয়
এই সময় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ চলছে গোটা দেশে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন সকলেই। তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে এ বার নিজের ছোট্ট দোকানের বাইরে ব্যানার ঝোলালেন হুগলির এক চা বিক্রেতা। অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ তাঁর।চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন, খাবারের বিল এমনকী ছেলের জন্মদিনের মেনু কার্ডেও ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’-এর দাবি দেখা গিয়েছে আগে। এবার চায়ের দোকানেও অভিনব প্রতিবাদ হুগলিতে। তরুণী চিকিৎসকের হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা বিচারাধীন। এখনও চার্জশিট জমা পড়েনি খুন ও ধর্ষনের মামলার। আর কতদিন লাগবে বিচার পেতে? অপেক্ষায় সকলেই।
হুগলির বলাগড়ের এক চা বিক্রেতা প্রতিদিন আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে তাঁর ব্যানারের তারিখ বদলে যান। তিনি ক্রেতাদের মনে করিয়ে দেন, তিলোত্তমার বিচার পাওয়া যায়নি কতদিন হল। বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা সেই চা বিক্রেতার নাম জয় ধর। বছর ৩৬-এর জয়ের আসাম লিঙ্ক রোডের পাশে বারুইপাড়ায় রয়েছে চায়ের দোকান। বিএ ফাইনাল ইয়ার পড়তে পড়তে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
কিছুদিন ঠিকাদারি, সেলসম্যানের কাজ করেন। নিজে স্বাধীন কিছু করতে চায়ের দোকান খোলেন। দোকানের নাম দেন জয়দা’র চায়ের দোকান। প্রতিদিন বিকেল হলেই তাঁর চায়ের দোকানে ভিড় জমে অনেক মানুষের। গাড়ির যাত্রীরাও দাঁড়িয়ে চা খান তাঁর দোকানেই। জয়ের এই ব্যানারের দিকে চোখ যাচ্ছে সকলেরই। এক ক্রেতা জিৎ ঘোষ বলেন, ‘তিলোত্তমা বিচার পাইনি বেশ কয়েকদিন হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি। তবে তার মধ্যে এটা দেখে ভালো লাগছে, যে চায়ের ব্যবসা চালিয়েও প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন। বিচার আমাদের পেতেই হবে।’
জয় বলেন, ‘এখনও আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার হয়নি। চায়ের দোকান সামলে সেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারছি না। তাই এই উপায়ে প্রতিবাদ করছি। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের পাশে আছি। তাঁদের সাহস জোগাচ্ছি।’ তাঁর কথায়, আমি চাই চলার পথে মানুষ যাতে ভুলে না যায় ঘটনাটি। ধর্ষণের বিরুদ্ধে যেন এক কঠোর আইন তৈরি হয়। প্রতিটা বাড়ির মহিলারা যেন সুরক্ষিতভাবে রাস্তায় বের হতে পারে। জয় বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি। তবে সাধারণ অনেক গরিব মানুষ আছেন, তাঁরা হাসপাতালে যান চিকিৎসা করাতে। তাঁরা যাতে সমস্যায় না পড়েন সেটাও দেখতে হবে।’