• ‘আমরা অরাজনৈতিক লড়াই করছি’, ধর্না চালিয়ে যাওয়ার বার্তা ডাক্তারদের
    এই সময় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • টানা চারদিন ধরে স্বাস্থ্য ভবনের কাছেই ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের আন্দোলনকে কোনওভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবহার করা যাবে না। ধর্না স্থল থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। অনেকেই তাঁদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবহার করতে চাইছেন বলেও ইঙ্গিত দেন তাঁরা।শুক্রবার সন্ধ্যায় জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, যাঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চেয়েছেন, প্রথম থেকেই আমরা তাঁদের বিরোধিতা করেছি। প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে উঠে আসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম। গত বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের কাছে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত হলে তাঁকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়।

    বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি প্রতিক্রিয়ায় জানান, জুনিয়র ডাক্তারেরা এই স্লোগান দেননি। কিছু ‘বহিরাগত’ এই স্লোগান দিয়েছেন, যাঁরা মদ-গাঁজা খান। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের এক প্রতিনিধি জানান, ওই স্লোগান তাঁদের তরফেই দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চেয়েছেন, প্রথম থেকেই আমরা তাঁদের বিরোধিতা করেছি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বা অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেতা-নেত্রীকেও আন্দোলনের মঞ্চ থেকে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছে।’

    শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, পাঁচ দফার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা জানান, গতকালের নবান্নের বৈঠক না হওয়ার পর তাঁরা এই চিঠি দেননি। তার আগেই তাঁরা ই-মেল করে চিঠি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না স্থলে পুলিশি নিরাপত্তা ও সিসিটিভি সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যাতে বহিরাগতের প্রবেশ না ঘটে। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘ এখানে কেউ বহিরাগত নয়। এটা মানুষের আন্দোলন। আমরা অরাজনৈতিক লড়াই করছি। এখানে কোনও রাজনীতির বার্তা আমরা দিতে চাই না।’

    অন্যদিকে, আজকেই নির্যাতিতার মা-বাবাকে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। এদিন দুপুরেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যায় সিবিআইয়ের একটি টিম। হাসপাতালের অধ্যক্ষ যে বিল্ডিংয়ে বসেন, সেই প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ে যান তাঁরা। পাশাপাশি, অন্যান্য জায়গাও ঘুরে দেখে সিবিআই আধিকারিকেরা। বিকেলে নির্যাতিতার পরিবারকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তের স্বার্থেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)