ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ম্যারাথন ধরনায় জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের ৩০ জন প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্ত মানতে রাজি ছিল না সরকার, ফলে সেই বৈঠক ভেস্তে যায়।
আজ, শুক্রবার ফেসবুকে পোস্ট করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, এক বামপন্থী যুব সংগঠন ও এক অতি বাম সংগঠনের ভংয়কর চক্রান্ত করেছে ডাক্তারদের ধরনায় হামলা চালানোর। তাঁর নিশানায় রয়েছে বিজেপিও।
কুণাল ঘোষ তাঁর ফেসবুকে যা যা লিখেছেন তা একেবারে হুবহু তুলে ধরা হল...
" সাহেব অর্ডার করেছে সল্টলেক ওড়ানোর জন্যে।"
" অর্ডার করলে উড়িয়ে দে।"
ভয়ঙ্কর কথোপকথন হাতে এসেছে, ওদের সূত্রেই। রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে সমস্যায় ফেলতে বামপন্থী এক যুব সংগঠন ও এক অতি বাম সংগঠনের চক্রান্ত। ডাক্তারদের ধরনায় হামলার। ঘটনাস্থলে যাতায়াত বিজেপির যুবদেরও। পূর্ণাঙ্গ সংলাপে আরও স্পষ্ট রূপরেখা। পুলিশ, প্রশাসন নজর দিন। ওখানে বহিরাগত প্রবেশ থামানো হোক। একটু পরে আরও কিছু অংশ দেব। সব ওই শিবির থেকেই 'লিক' করছে। কারণ, ওদিকেও দুএকজন এই ভয়ানক খেলায় ঢুকতে দ্বিধাগ্রস্ত।'
"স- সাহেব অর্ডার করেছে সল্ট লেক ওড়ানোর জন্য।
ক- অর্ডার হলে করে দে।
স- সবাই প্রশ্ন করছে যারা পার্টনাররা আছে।
ক- যখন বলেছে, কিছু একটা ভেবেই তো বলেছে।
স- আমি এত বছর এই কাজ করেছি, কোনোদিন ভয়ডর লাগেনি কিন্তু এখন এটাতে বিবেকে লাগছে, করাটা কী ঠিক হবে, ওরা তো লোকের জীবন বাঁচায়।
ক- তোকে তো ফাইট টু ফিনিশ করতে বলেনি।
স- ছেলেরা মদ খেয়ে যায়, মারতে গিয়ে যদি বেহদ কিছু হয়ে যায় সেটা তো চিন্তার বিষয়।
ক- সেটা ওকে বল আমার এরকম মনে হচ্ছে কী করব।
স- বাপ্পাদাকে পার্সোনালি জিজ্ঞেস করেছিলাম, বাপ্পাদা বলল জানোয়ার হয়ে যাইনি এখনও।
ক- ওই মত করেই কর।
স- দাদু বলছে নবান্ন তে মিটিং হয়নি, ওরা তো ফেরত চলে আসবে সল্ট লেকে, ভাববে শাসক মারটা মেরেছে।
ক- হুমম।
স-কী বলল কথাটা কিছু বুঝলে?
ক- হ্যাঁ, বুঝেছি।
স- বলছে পুরো দোষটা দিয়ে আরও অশান্তিটা পাকানো যাবে, কিন্তু কলকাতার কাউকে না, বাইরের। ঠিক আছে দেখছি ওরা তো ওখান থেকে প্রেস কনফারেন্স করছে, আমরা টিভি দেখছি কনটিনিউ, কী করব মাথা ফাটানোটা ঠিক হবে?
ক- দেখ খানিকটা যদি কিছু করা যায়, খানিকটা হলেও কি ব্যাপারটা থাকবে যে ওরাই এটা করালো।