সুলয়া সিংহ: দুর্গাপুজো মানে রাতভর ঠাকুর দেখা, পরিবার, বন্ধুবান্ধবের পুনর্মিলন, খাওয়া-দাওয়া হইহুল্লোড়। যুগ যুগ ধরে এই ছবিটায় কোনও বদল নেই। তবে একটা সময় ছিল, যখন পুজোর নানা অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল পুরোদস্তুর ছিল পুজোর গানও। প্রযুক্তির কল্যাণে ক্যাসেট-সিডি অতীত হলেও আজও পুজোর গানেই মেলে আগমনীর বার্তা। গান রেকর্ড করে আজও একইরকম আনন্দ পান গায়করা। এখন পুজোর গান শুনতে মানুষ ঢুঁ মারেন ইউটিউবে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পুজোয় নতুন গান গেয়ে ফেললেন বাবুল সুপ্রিয়। দক্ষিণ কলকাতার শহরতলি এলাকার কেন্দুয়া শান্তি সংঘের থিম সং গাইলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা গায়ক।
‘দুগ্গা এল কেন্দুয়াতে’ গেয়ে পুজোর মুড জমিয়ে দিলেন বাবুল। বৃহস্পতিবার ট্যাংরার একটি স্টুডিওতে রণজয় ভট্টাচার্যর সুরে গানটি রেকর্ড করেন বাবুল সুপ্রিয়। রেকর্ডিংয়ের পর তিনি বলছিলেন, “ক্যাসেট-সিডির চল তো এখন আর নেই। তবে এখনও মানুষ পুজোর গান শোনেন। ইউটিউবে অনেক গান মুক্তি পায়। এবার আমি কেন্দুয়ার জন্য গাইলাম। অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল রণজয়ের সঙ্গে একটা গান করব। খুব ভালো সুর করেছে। খুব মজা করে লিখেছে, একেবারে জমাটি গান। আমি আশাবাদী, সবার গানটা খুব ভালো লাগবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয়ের জন্যই তো দুর্গা মায়ের আগমন। সেই বার্তাই থাকবে।”
কেন্দুয়ায় ৫১তম পুজোয় এবার শুরু থেকেই চমক। থিম অনুনাদ। পুজোর মুখ যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। মণ্ডপসজ্জার দায়িত্বে থাকা শিল্পী সুশান্ত পাল বলছেন, আলো-শব্দের সামঞ্জস্য রেখে এবারের আয়োজন। যে কোনও উপাসনা গৃহে ইতিবাচক শক্তি প্রবহমান। যা মানুষের শরীর ও মনেও সঞ্চারিত হয়। সেই ভাবনা থেকে আলো আর শব্দের সংযোগে এক ঐশ্বরিক অনুভূতি উপলব্ধি করাতে চান শিল্পী। দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশাবাদী তিনি। মণ্ডপের থিম সংয়েই শোনা যাবে বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গান ‘দুগ্গা এল কেন্দুয়া’তে। শিল্পী বাবুলও আশা করছেন, থিম সং, পুজোমণ্ডপ সব মিলিয়ে কেন্দুয়ার পুজো এবার দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।