• দুই জেলায় স্কুল চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ বহু পড়ুয়া
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক ও সংবাদদাতা, বেলদা: স্কুল চলাকালীন আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-দুই জেলায় এঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

    পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার উনল উড়উড়ি নেতাজি শিক্ষানিকেতনে বুধ ও বৃহস্পতিবার ১৪ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রত্যেকের উপসর্গ একরকম-পেটের যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্ট। তাদের মধ্যে দু’জন তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, তিনজন মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও এক ছাত্রী চণ্ডীপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে।

    এছাড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর থানার নীলদা হাইস্কুলে শুক্রবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন ৪০জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রত্যেকের বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাদের স্থানীয় বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চারজনকে এগরা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    ভগবানপুরের উনল উউউড়ি হাইস্কুলে ১৪জন ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয়। শুক্রবার অনেক পড়ুয়া স্কুলে যায়নি। এদিন ভগবানপুর-১ ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি টিম ওই স্কুলে যায়। বিএমওএইচ সতীশ কুমার বলেন, পড়াশোনার চাপ থে঩কেই এটা হয়েছে। আমরা ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর হাসান বলেন, দু’দিনে কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুক্রবার হাজিরা অনেক কম ছিল। স্বাস্থ্যদপ্তরের টিম পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছে।

    মোহনপুরের স্কুলে শুক্রবার প্রার্থনা শেষ হতেই দশম শ্রেণির এক ছাত্র বুকে ব্যথা অনুভব করে। তারপর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীও একইভাবে অসুস্থ হয়।  প্রথমে তাদের স্থানীয় একজন গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর একসঙ্গে অনেক পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করতে থাকে। পরিস্থিতি দেখে শিক্ষক-শিক্ষিকারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাঁরা বিডিও অফিস ও মোহনপুর থানায় খবর দেন। পুলিসের তরফে স্কুলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে ৪০জন অসুস্থ পড়ুয়াকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অসুস্থদের মধ্যে চারজন ছাত্র। বাকিরা ছাত্রী। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমীরণ শিট বলেন, কীভাবে একসঙ্গে এত পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ল বুঝতে পারছি না।

    মোহনপুরের বিএমওএইচ অনিল বাস্কে বলেন, বেশিরভাগ পড়ুয়া শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে। প্রথমে যে দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তাদের শরীর আগে থেকে দুর্বল ছিল। তাদের দেখে বাকিদের মধ্যে প্যানিক অ্যাটাক হয়। পরিবারের দাবিমতো চারজনকে এগরা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকিরা এখন সুস্থ।পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন পাত্র বলেন, তাড়াতাড়ি ওই পড়ুয়াদের চিকিৎসার বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ করি। স্কুলের পানীয় জল খেয়ে অসুস্থ হওয়ার গুজব ছড়িয়েছিল। কিন্তু সেটা ঠিক নয়।
  • Link to this news (বর্তমান)