• রিডিং না নিয়েই অত্যধিক বিল পাঠানোর অভিযোগে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: কারও বিল ন’ হাজার টাকা, কারও ১৪ হাজার। মিটার রিডিং না নিয়েই অত্যধিক বিল পাঠানোর অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের বিরুদ্ধে। ফলে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিদ্যুৎ বণ্টন অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন সাবমার্সিবল গ্রাহকরা। বিক্ষোভকারী গ্রাহকরা স্টেশন ম্যানেজারকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন। অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় লো ভোল্টেজ ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করা হয়।

    এদিন সকাল ১১টা নাগাদ এলাকার শতাধিক গ্রাহক স্থানীয় বিনোদিয়া গ্রামের কাছে বিদ্যুৎ দপ্তরের ভরতপুরের অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভের পর স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। গ্রাহকদের দাবি, এবারের বর্ষার সময়ে কারও সাবমার্সিবল একেবারে বন্ধ ছিল। কারও বা সামান্য সময়ের জন্য চালানো হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল এসেছে ন’ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা। গ্রাহকরা রিডিং নিয়ে ফের বিল পাঠানোর দাবি তুলেছেন। শাহরুখ খান বলেন, আমার কাকার নামে সাবমার্সিবল রয়েছে। এবারের বিল দেওয়ার আগে মিটার রিডিং নেয়নি দপ্তরের কর্মীরা। অফিসে বসেই বিল পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রায় ১৪ হাজার টাকার মাসিক বিল এসেছে। অথচ সাবমার্সিবল একেবারে চালানো হয়নি।

    স্টেশন ম্যানেজার কিতাবুল হক বলেন, গরমের সময় বাড়ির বিলও বেশি আসে সেটাই ওঁদের বুঝিয়ে বলেছি। একঘণ্টা সাবমার্সিবল চালালে ৫০ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়। তবে যেখানে যেখানে মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি, সেই বিলগুলি পরবর্তী বিলের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে।

    বেশি টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, কে কীভাবে টাকা নিয়েছে সেটা জানা নাই। তবে কোটেশনের বাইরে কোনও টাকা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে বেলডাঙা থানার অন্তর্গত ভাবতা এলাকায় রাতভর বিদ্যুৎ ছিল না বলে বাসিন্দাদের দাবি। এই কারণে এদিন সকালে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ভাবতা পাওয়ার স্টেশনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    এদিন ডোমকলের সাগরপাড়া থানার সাহেবনগর বাজারে এলাকায় লো ভোল্টেজের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন বাসিন্দারা। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা বিক্ষোভে শামিল হয়ে শেখপাড়া-জলঙ্গি রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পৌঁছয় সাগরপাড়া থানার পুলিস। পরে পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 

    অভিযোগ, ওই বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লো ভোল্টেজের সমস্যা চলছে। যে কারণে পাখাও ঘোরে না। ঘণ্টাখানেক পর অবশ্য অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)